Pakistan sex scandal: পাকিস্তানের সবথেকে বড় যৌন কেলেঙ্কারির ফাঁস, বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে ভাইরাল ৫৫০০ পর্ন ভিডিও

পাকিস্তানের ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও কর্মীদের যৌন নিগ্রহের অভিযোগ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

 

Saborni Mitra | Published : Jul 28, 2023 5:40 PM IST

পাকিস্তানের ইতিহাসে এটাই মনে হয় সবথেকে বড় সেক্স স্ক্যান্ডেল! পাকিস্থানের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বাহাওয়ালপুর থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পর্ণগ্রাফিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, পড়ুয়া ও শিক্ষকরা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই যৌন শোষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের একটি বিশেষ প্রতিবেদনে গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা গোটা সমাজকেই নাড়িয়ে দেবে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, শুরু হয়েছে ধরপাকড়। আইইউবি কোষাধ্যক্ষ রয়েছে। যিনি মেথ আর অ্যাফ্রোডিসিয়াকসের দখল নিজের অধীনে রেখেছে। পুলিশ সূত্রের খহর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রধানের ফোনেও ছাত্র ও কর্মীদের যৌনতার ভিডিও স্টোর করা হয়েছে। তাকেও গ্রেফতার করে জেরা করা হতে পারে।

ব্ল্যাকমেল ও যৌন শোষণের অভিযোগ-

পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ অধিকারিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। রয়েছে বেশ কিছু কর্মকর্তাও। তারাই ছাত্র ও কর্মীদের ওপর যৌন নিগ্রহ চালাত বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে সেই কর্মকর্তা আর পদস্থ আধিকারিকরা ছাত্র ও কর্মীদের ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করত।

কোষাধ্যক্ষের মাধ্যমে মাদক বিক্রির অভিযোগ

পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোষাধ্যক্ষ ছাত্রদের মাধ্যমে মাদক কেনা বেচা করত। ছাত্রদের মাধ্যমে মাদক পাচার ও বিতরণ করত। এর জন্য ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্য বিশেষ নাচ ও সেক্স পার্টির আয়োজন করা হত। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে দীর্ঘ দিন ধরেই ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এজাতীয় বেআইনি ও অবৈধ কার্যকলাপ চলত। তারণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মূলত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়ারাই পড়াশুনা করতে যায়। তাদের ব্যবহার করেই এক দল পদস্থ আধিকারিক নিজেদের ব্যবসা বাড়িয়েছিল। সম্প্রতী মহিলাদেরও টার্গেট করেছিল তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পুলিশের তৎপরতায় ইতিমধ্যেই রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যাসয়ের আইস চ্যান্সেলর আতহার মেহবুবকে চিঠি দিয়ে অভিযুক্ত ও দোষীদের গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনেরও দাবি জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় মাদক ব্যবহার ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্, নীতি অনুসরণ করতে চায়। তবে এক দল বলছে ইচ্ছেকৃতভাবে কর্মকর্তাদের ফাঁসানো হয়েছে। অন্যদিকে গোটা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে পাকিস্তানের উচ্চ শিক্ষা কমিশন আইইউবিতে কেলেঙ্কারির তদন্তের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে।কমিটিতে তিনজন ভাইস-চ্যান্সেলর এবং নিরাপত্তা সংস্থার আধিকারিকদের সমন্বয়ে গঠিত এবং একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত পরিচালনা করার, সমস্ত প্রাসঙ্গিক প্রমাণ পরীক্ষা করা এবং বিরক্তিকর অভিযোগের পিছনে সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য সাক্ষ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

Share this article
click me!