সংবাদ দুনিয়ায় নক্ষত্র পতন, প্রয়াত প্রখ্যাত পাকিস্তানি কানাডিয়ান সাংবাদিক তারেক ফাতাহ

১৯৪৯ সালে পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণকারী তারেক ১৯৮৭ সালে কানাডায় চলে আসেন এবং একজন রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক এবং টেলিভিশন হোস্ট হিসেবে কাজ করেন। তিনি একজন পুরস্কার বিজয়ী রিপোর্টার, কলামিস্ট এবং রেডিও এবং টেলিভিশন ভাষ্যকার ছিলেন

ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের যুদ্ধের পর প্রয়াত হলেন প্রখ্যাত পাকিস্তানি কানাডিয়ান লেখক ও সাংবাদিক তারেক ফাতাহ। তাঁর কন্যা নাতাশা ফাতাহ এই খবর টুইট করে নিশ্চিত করেছেন। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

 

১৯৪৯ সালে পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণকারী তারেক ১৯৮৭ সালে কানাডায় চলে আসেন এবং একজন রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক এবং টেলিভিশন হোস্ট হিসেবে কাজ করেন। তিনি একজন পুরস্কার বিজয়ী রিপোর্টার, কলামিস্ট এবং রেডিও এবং টেলিভিশন ভাষ্যকার ছিলেন, যার একটি বিশাল সামাজিক মিডিয়া ফলোয়ার ছিল। ফাতাহ তার প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় ছিলেন এবং পাকিস্তানের সমালোচক ছিলেন। উগ্রবাদী শক্তির কাছ থেকে তাঁর হুমকি পাওয়ার এটিও একটি কারণ ছিল।

পাকিস্তান হওয়ার আগে তারিক ফতেহের পরিবার বোম্বেতে (বর্তমানে মুম্বাই) থাকতেন। তারিকের জন্ম ১৯৪৯ সালের ২০ নভেম্বর। ফাতেহ পরিবারে দেশভাগের পর পাকিস্তানের করাচিতে পৌঁছেছিলেন। এ কারণে তিনি নিজেকে মনেপ্রাণে ভারতীয় বলতেন, কিন্তু দেশভাগ তাকে পাকিস্তানি বানিয়ে দেয় বলেও আক্ষেপ করতেন। পড়াশোনায় উজ্জ্বল, তারিক করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃত্তি নিয়ে বায়োকেমিস্ট্রি পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর বন্ধুত্বের পর বিয়ে করেন শিয়া মেয়ে নার্গিস তাপলকে। তারিকের দুটি মেয়ে আছে, যাদেরকে তিনি সু-শি বলে ডাকতেন, সংক্ষেপে সুন্নি-শিয়া।

তারিক ১৯৭০ সালে করাচির 'সান' পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রযোজক হন। তিনি প্রগতিশীল চিন্তাধারার সমর্থক এবং ইসলামের গোঁড়া ঐতিহ্যের ঘোর বিরোধী ছিলেন। এ কারণে তিনি প্রতিনিয়ত জেনারেল জিয়া-উল-হকের সামরিক সরকারের বিরোধিতা করতেন। এই বিরোধিতার কারণে তারিককে দুইবার কারাগারে পাঠানো হয়। জীবনের হুমকি দেখে তিনি ১৯৭৮ সালে সৌদি আরবে চলে যান। সেখানে প্রায় ১০ বছর বিজ্ঞাপন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার পর ১৯৮৭ সালে তিনি কানাডার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সেখানে টরন্টোর কাছে Ajax শহরে বসতি স্থাপন করেন এবং তার স্ত্রীর সাথে একটি ড্রাই ক্লিনিং কোম্পানি চালাতে শুরু করেন।

তাঁর মেয়ে নাতাশা টুইটে তাকে একজন বিপ্লবী এবং হিন্দুস্তান প্রেমিক বলে বর্ণনা করেছেন। তারিক ফতেহ নিজেকে সবসময় ভারতীয় বলে পরিচয় দিতেন। তারিক ফাতাহ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছিলেন। যদিও গত কয়েকদিন ধরেই তার মৃত্যুর খবর শোনা যাচ্ছিল। তারিক ফতেহ যেভাবে ভারত ও পাকিস্তান সম্পর্কে তার মতামত প্রকাশ করতেন, একইভাবে ইসলাম ও রক্ষণশীল রীতিনীতির সমালোচনা করতেন। তারিক ফতেহ তার বিতর্কিত বক্তব্যের জন্যও পরিচিত ছিলেন।

Share this article
click me!

Latest Videos

'একত্রিত হতে হবেই, ওরা ৫০ পেরলেই শরিয়া আইন চালু করবে' গর্জে উঠলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | News
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury