ভারত-পাকিস্তান সুসম্পর্ক নিয়ে বড় দাবি ইমরান খানের, তবে জলঘোলা করল 'কিন্তু' শব্দটি

Published : Nov 22, 2022, 12:21 AM ISTUpdated : Nov 22, 2022, 12:32 AM IST
Imran Khan

সংক্ষিপ্ত

ভারত-পাকিস্তান সুসম্পর্ক স্থাপনে তিনি চেষ্টা করেছিলেন, একটি ব্রিটিশ দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য ইমরান খানের। তিনি বলেন, বিজেপি থাকলে তা সম্ভব নয়। কাশ্মীর প্রসঙ্গও তোলেন। 

পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক ভাল করতে চান। কিন্তু জাতীয়তাবাদী বিজেপি ক্ষমতায় থাকাকালীন এটি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। সোমবার ব্রিটিশ সংবাদপত্র 'দ্যা টেলিগ্রাফ' এর একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এমনই মন্তব্য করেন তিনি। ৭০ বছরের ইরমান খান বলেছেন, দুই প্রতিবেশী দেশ যদি একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করে তাহলে আর্থিক সুবিধেগুলি দুই দেশ ভোগ করে।

ইমরান খান বলেছেন ভারত পাকিস্তানের সম্পর্ক যদি ভাল হয় তাহলে দুই দেশ অনেক সুবিধে পাবে। তবে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের অন্তরায় হল কাশ্মীর সমস্যা। ইমরান খান আরও বলেন,' কাশ্মীর সমস্যা কাটিয়েও ভারত - পাকিস্তান সু-সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। কিন্তু আমি করি বিজেপি সরকার এতটাই কট্টোর ও এই ইস্যুতে এতটাই জাতীয়তাবাদী অবস্থান নিয়ে যা প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।' এই সমস্যা সমাধানের কোনও পথ নেই - এটা রীতিমত তাঁকে হতাশ করে বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদের কারণ কাশ্মীর সমস্যা এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি রোডম্যাপ থাকা জরুরি বলেও দাবি করেন তিনি।

ভারত বরাবর পাকিস্তানকে বলেছে তারা সস্ত্রাস ও শত্রুতা হিংসা-মুক্ত স্বাভাবিক পরিবেশে ইসলামাবাজের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পরই ভারত-পাকিস্তানের মধ্য সম্পর্ক আরও শীতল হয়ে যায়। কাশ্মীর ইস্যু ও পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভারতের এই সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তানও নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে দেয়।

ইমরান খান আগামী বছর যাতে দেশের ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন তার জন্য লংমার্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বর্তমানে তিনি রয়েছেন ইসলামাবাদে। তিনি বলেন, তিনি যদি আবার ক্ষমতায় ফেরেন তাহলে আফগানিস্তান, ইরান, চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ পাকিস্তানের সব প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন প্রত্যেক দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক জরুরি। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় শেষ হয়ে গেছে। আর সুসম্পর্ক স্থাপনের সবথেকে বড় পন্থা হল প্রতিবেশী ও বাকি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করা। তাতে পাকিস্তানের আর্থিক সংকটও কমবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

PREV
click me!

Recommended Stories

গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ, পাকিস্তানের প্রাক্তন ISI প্রধানের জেল
বিস্ফোরক বা মাদক আছে বলে সন্দেহ, লন্ডনে মহসিন নকভির গাড়ি তল্লাশি পুলিশের