তোষাখানা মামলা কী, কেন ওয়ারেন্ট নিয়ে ইমরান খানের বাড়িতে পৌঁছল পুলিশ, জানুন গোটা বিষয়

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ ইমরান খানের সম্ভাব্য গ্রেফতার ঠেকাতে সব দলের কর্মীদের অবিলম্বে তার বাসভবনে পৌঁছানোর আবেদন করেছে। যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সভাপতি ইমরান খান যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন। গ্রেপ্তারের খড়গ ঝুলছে তার মাথায়। তোষাখানা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে লাহোরে তার বাসভবনে পৌঁছেছে পুলিশ। তার সমর্থকরা ব্যাপক বিক্ষোভ করছেন। একটি দায়রা আদালত তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছে। বারবার আদালতের নির্দেশের পরও তিনি হাজির হচ্ছেন না।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ ইমরান খানের সম্ভাব্য গ্রেফতার ঠেকাতে সব দলের কর্মীদের অবিলম্বে তার বাসভবনে পৌঁছানোর আবেদন করেছে। যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হলে পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী এই মামলা এবং কেন ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

Latest Videos

তোষাখানা কি?

তোষাখানা মানে সরকারি কোষাগার। পাকিস্তানে বিদেশী নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া যেকোনো উপহার সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। ইমরান খান সেই উপহারগুলো সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেছেন। একে তোষাখানা মামলা বলা হচ্ছে। তোষাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, সাংবিধানিক পদে বসা প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য।

পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। ২০১৮ সালে ইমরান খান যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন তিনি কোনো নিয়ম মানেননি। ইমরান খান তখন যুক্তি দিয়েছিলেন যে এটি করা অন্যান্য দেশের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ককে হুমকির মুখে ফেলবে।

পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন-এর সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজ শুক্রবার দাবি করেছেন যে এটি পাকিস্তানে প্রথম চুরি, যার উপর চুরির অকাট্য প্রমাণ সামনে আসার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

উপহার কেলেঙ্কারি কখন সামনে এল?

ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের কয়েক মাস পর আগস্টে, ক্ষমতাসীন জোটের কিছু আইনপ্রণেতা জাতীয় পরিষদের স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফের কাছে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ইমরান খানকে অভিযুক্ত করা হয় যে, তার প্রাপ্ত উপহারের বিবরণ তোশাখানায় হস্তান্তর করা হয়নি। সেগুলো বিক্রি করে টাকা আয় হতো। পাকিস্তানের স্পিকার তা প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার কাছে পাঠিয়েছিলেন।

গত ৮ সেপ্টেম্বর ইমরান খান নোটিশ পান। তিনি এই নোটিশের জবাব দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি যে চারটি উপহার পেয়েছিলেন তা বিক্রি করে দিয়েছিলেন। উপহারের মধ্যে একটি গ্রাফ, একটি রোলেক্স ঘড়ি, এক জোড়া কাফলিঙ্ক, একটি দামী কলম, বেশ কয়েকটি ধাতব জিনিসপত্র এবং একটি আংটি ছিল।

কোন আইনের কবলে পড়েন ইমরান খান

পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খান ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন আইন, ২০১৭-এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন এবং একটি মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি ২০২০-২১ সালের জন্য তার সম্পদ সম্পর্কে ভুল তথ্যও শেয়ার করেছেন।

ইমরান খানকে নির্বাচন আইনের ধারা সহ সংবিধানের ৬৩(১)(পি) ধারায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। পাকিস্তানের সংবিধানের ৬৩(১)(পি) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে কোনো আইনের অধীনে আপাতত অযোগ্য ব্যক্তি মজলিস-ই-শুরা বা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে পারেন।

Share this article
click me!

Latest Videos

Viral Video! আবাসের টাকা ঢুকতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাটমানি চাইছেন TMC কর্মী | Murshidabad Latest News
প্রেমের আড়ালে লক্ষাধিক টাকা লুঠ! প্রতারণার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর কাহিনি | South 24 Parganas News Today
‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh
'কুমিল্লা ছেড়ে চলে যা' কুমিল্লায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা! | Bangladesh News |
শীতের রাতে যমুনার আতঙ্ক! একের পর এক জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘিনী | Bandwan Tiger News