পঞ্জশিরে মিলল তালিবান-পাক যোগের স্পষ্ট প্রমাণ, আগুন নিয়ে খেলছেন ইমরান খান

আফগানিস্তানে পাক সেনার উপস্থিতির স্পষ্ট প্রমাণ মিলল পঞ্জশিরে। আফগানিস্তানে তালিবানি উত্থানে আশা-আশঙ্কার মাঝে রয়েছেন ইমরান খান।  
 

Asianet News Bangla | Published : Sep 4, 2021 10:24 AM IST / Updated: Sep 04 2021, 03:56 PM IST

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে শেষ ফোনকলে তালিবানদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে পাক সেনাও, এমনই অভিযোগ করেছিলেন তৎকালীন অফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। শুক্রবারও পেন্টাগন দাবি করেছিল, আফগানিস্তানে পাকিস্তানি সেনা তালিবানদের হয়ে যুদ্ধ করছে, এমন কোনও প্রমাণ তাদের কাছে নেই। তার পরদিনই, শনিবার, আফগানিস্তানের পঞ্জশির প্রদেশে তালিবান-পাকিস্তান যোগের স্পষ্ট প্রমাণ মিলল।

গোটা আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে থাকলেও, একটি জায়গাতেই প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়েছে তারা, পঞ্জশির উপত্যকা। আর সেখান থেকেই তালিবান পক্ষের এক মৃত যোদ্ধার কাছ থেকে একটি পাকিস্তানি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেই, পরিচয়পত্র অনুযায়ী নিহত ওই সেনা পাক সেনাবাহিনীর সদস্য মহম্মদ ওয়াসিম।

অনেক আফগান বিশেষজ্ঞই দাবি করেছেন, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই সমর্থন না থাকলে তালিবানরা হয়তো কাবুল পর্যন্ত পৌঁছতেই পারত না। একেবারে ১৯৮০-র দশকে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে আফগান মুজাহিদিনদের লড়াইয়ের সময় থেকেই তালিবানদের পক্ষে ছিল পাকিস্তান। তখন অবশ্য তাদের সঙ্গে ছিল আমেরিকাও। ২০০১ সালে মার্কিন বাহিনী যখন আফগানিস্তানে হামলা চালিয়েছিল, সেই সমযও তালিবান শীর্ষ নেতৃত্ব পাকিস্তানেই গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। পাক সেনাবাহিনীই তালিবান বাহিনীর যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন। 

আরও পড়ুন - অকুতোভয় আফগান মহিলাদের রুখতে ব্যর্থ তালিবানি বন্ধুকও - খোদ রাজধানীতেই বিক্ষোভ, দেখুন

আরও পড়ুন - পঞ্জশির কাদের দখলে, প্রবল ধোঁয়াশা - তালিবানদের সঙ্গেই লড়ছে আল-কায়েদা, পাকিস্তানও

আরও পড়ুন - সারাদিন পর্নোগ্রাফি দেখছে তালিবান, তৈরি হচ্ছে 'তালিকা' - কী চলছে কট্টরপন্থীদের মাথায়, দেখুন

সত্যি লতে আন্তর্জাতিক মহল এখন আর পাকিস্তানকে ইসলামি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দৃঢ় মিত্র হিসেবে দেখে না। দুই দশক ধরে তালিবানদের লড়াইয়ে সমর্থন দেওয়ার পর তারা তালিবান সরকারকেও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তালিবানরা কাবুল দখল করার পর পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ঘোষণা করেছিলেন, তালিবানরা 'দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে দিয়েছে'। আসলে, ইসলামাবাদ ভারতের সঙ্গে তাদের বিরোধে তালিবানদের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখছে।  

তবে তালিবানদের উত্থানে পাকিস্তানের উদ্বেগও রয়েছে। আর সেই উদ্বেগের নাম তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপি। টিটিপির মূল লক্ষ্য পাকিস্তানে শরিয়তি আইন জারি করা। পাক বাহিনীকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে মার্কিন  ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা। পাকিস্তানে যত সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়, তার বেশিরভাগটাই এই বাহিনীর করা। ২০২১ সালের প্রথম দুই মাসেই পাকিস্তানে তারা ৩২টি সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছিল। আফগানিস্তানের তালিবানদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নরমে-গরমে। ইস্যু ভিত্তিতে তারা পরস্পরকে সমর্থন করে অথবা করে না। তবে আফগানিস্তানে তালিবানদের উত্থানে টিটিপি আরও উৎসাহিত হবে বলে আশঙ্কা করছে পাকিস্তান।

Share this article
click me!