মঙ্গলবার রাতেই আফগানিস্তানে নতুন শিক্ষামন্ত্রী হয়েছেন শেখ মৌলবী নূরুল্লাহ মুনির। দায়িত্ব নিয়েই অবাক করা ঘোষণা করলেন এই তালিবান নেতা।
মঙ্গলবার রাতে আফগানিস্তানে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষণা করেছে তালিবানরা। আর তারপরই, আফগান জনতা এবং গোটা বিশ্ব যে ভয় পেয়েছিল, তাই হওয়ার আভাষ মিলল। আফগানিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তালিবান নেতা শেখ মৌলবী নূরুল্লাহ মুনির উচ্চশিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে বসলেন। তাঁর বক্তব্য খুবই স্পষ্ট, পিএইচডি ও মাস্টার্স ডিগ্রির মতো উচ্চশিক্ষার ডিগ্রিগুলির কোনও মূল্যই নেই। কারণ, তালিবান মোল্লাদের সেইসব ডিগ্রি নেই, কিন্তু তা সত্ত্বেও তারাই 'সর্বশ্রেষ্ঠ'।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুনরের একটি ভিডিও ক্লিপ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে নয়া আফগান শিক্ষামন্ত্রীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'আজ আর পিএইচডি ডিগ্রি নেই, মাস্টার্স ডিগ্রির কোনও মূল্য নেই। দেখুন, মোল্লা এবং তালিবানরা ক্ষমতায় আছে, তাদের পিএইচডি, এমএ, এমনকী হাই স্কুলের ডিগ্রিও নেই। কিন্তু তারাই সর্বশ্রেষ্ঠ।'
মঙ্গলবার, তালিবানরা মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করে। মোট ৩৩ জন পদাধিকারীর নাম গোষমা করা হয়েছে। তারমধ্য়ে মুনির একজন। তবে সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল, ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী দল হিসাবে পরিচিত হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রদান তথা সারা বিশ্বে পরিচিত কুখ্য়াত জঙ্গি সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বস্তুত, মন্ত্রিসভার অধিকাংশ শীর্ষস্থানীয় পদই দখল করেছে হাক্কানি নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। তালেবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের পুত্র মোল্লা ইয়াকুব পেয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্ব। মার্কিনিদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করা তালিবানদের দোহা ইউনিটের নেতা তথা তালিবান সহ-প্রতিষ্ঠাতা আবদুল ঘাণি বরাদর-কে উপ-প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন - নাকে খত, লাথি, গ্রেফতার - বেনজির তালিবানি সন্ত্রাস নেমে এল সাংবাদিকদের উপর, দেখুন
আরও পড়ুুন - বছরের শেষেই ধনকুবেরদের এই ক্লাবে ঢুকবেন মুকেশ অম্বানী, এক সপ্তাহেই কত রোজগার জানেন
তালেবানদের শীর্ষনেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা গোপন আস্তানা থেকেই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, নতুন সরকার 'ইসলামি নিয়ম ও শরিয়তি আইন সমুন্নত রাখার জন্য কঠোর পরিশ্রম করবে'। এর আগে তাবিনরা কথা দিয়েছিল, আফগানিস্তানের সব উপজাতিকে নিয়ে একটি সরকার গঠন করবে তারা। তবে হাক্কানি পক্ষ এর বিরোধী ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাদের পিছনে ছিল পাকিস্তানের সমর্থনও। এরপরই নতুন সরকারে শুধু মাত্র তালিবান নেতাদেরই জায়গা দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই মন্ত্রিপরিষদে জায়গা পাননি একজনও মহিলা।