ইউক্রেনের এক দিকে রয়েছে পোল্যান্ড। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে পোল্যান্ড সীমান্তের দূরত্ব প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। পোল্যান্ড সংলগ্ন বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজে রয়েছে ভারতীয় পড়ুয়ারা। অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে হাটা পথে ইউক্রেন ছাড়তে চাইছে।
রাশিয়ার (Russia) আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারতের (India) পাশে দাঁড়াল পোল্যান্ড (Poland)। রবিবার পোলিস সরকার ঘোষণা করেছে ইউক্রেনের (Ukraine) থাকা ভারতীয় শিক্ষার্থীদের (Indian Student) পোল্যান্ডে আসতে কোনও রকম ভিসা (Visa) লাগবে না। পোল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, রুশ আগ্রাসনের কারণ যেসব ভারতীয় শিক্ষার্থী ইউক্রেন থেকে বেরিয়ে যেতে চায় তাদের ভিসা ছাড়াই পোল্যান্ডে ঢোকার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনের এক দিকে রয়েছে পোল্যান্ড। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে পোল্যান্ড সীমান্তের দূরত্ব প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। পোল্যান্ড সংলগ্ন বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজে রয়েছে ভারতীয় পড়ুয়ারা। অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে হাটা পথে ইউক্রেন ছাড়তে চাইছে। এবার সেইসব ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য আরও একটি রাস্তা খুলে দিল পোল্যান্ড সরকার। ইউক্রেনের আটকে পড়া ভারতীয়রা এবার পোল্যান্ডে যেতেই পারে। সেখান থেকেই দেশে ফিরতে পারেবে তারা।
এর আগে গত শনিবারই পোল্যান্ডের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নাগমা মল্লিক জানিয়েছেন, পশ্চিম ইউক্রেনে থেকে ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য তিনটি দল তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি রয়েছে লাভিব। পোল্যান্ড সরকার সমস্ত রকম সহযোগিতা করছে। আটকে পড়া ভারতীয়দের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। পোল্যান্ড ভারতীদের যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বার করে আনার জন্য অনেক কাজ করছে।
শুক্রবারই ৪০ জন ভারতীয় ছাত্রের একটি দল পায়ে হেঁটেই পোল্যান্ড সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। যুদ্ধের মধ্যেই জীবন হাতে নিয়ে ৮ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে পোল্যান্ড সীমান্তে উপস্থিত হয়েছিল। একা সকলেই পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে লাভিভের একটি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া। এই দলটিকেও দ্রুত দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।
অন্যদিকে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারে এয়ার ইন্ডিয়া বিশেষ বিমান পরিষেবা দিয়েছে। শুক্রবার থেকে চালু হয়েছে বিশেষ বিমানগুলি। বৃহস্পতিবার রাশিয়া আচমকাই ইউক্রেন আক্রমণ করে। তবে তার আগে থেকেই পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয়, বিশেষত পড়ুয়াদের ইউক্রেন ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিল।
রুশ সেনা বাহিনীর খারকিভ শহর দখল করতে মরিয়া। তবে তার জন্য যে খুব বেশ কসরত করতে হবে তা নয়। কারণ মস্কো ইউক্রেনের একাধিক শহরের বাইরে ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি মোতায়েন করেছে। তেমনই দাবি করেছে ইনস্টিটিউট ফর দ্যা স্টাডি অব ওয়ার তাদের প্রতিবেদনে। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করেছেল। কিন্তু এর পিছনে দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনা ছিল রুশ প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। মনে করা হচ্ছে একটি একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি নিয়েই তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন ইউক্রেনের দিকে। রাশিয়ার প্রথম দফার টার্গেট পূর্ব ইউক্রেন।
ইনস্টিটিউট ফর দ্যা স্টাডি অব ওয়ার ২৫ ফেব্রিুয়ারি রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ইউক্রেন ভূখণ্ডের রাশিয়ান নিয়ন্ত্রণ ও প্রধান কৌশলের অক্ষের মূল্যায়ণ প্রাথমিকভাবে রাশিয়ানরা ডোনেক্স ও লুহানস্ক নিয়ে গঠিত ডনবাস অঞ্চলে আক্রমণ চালায়। এই দুটি অঞ্চলতে পুতিন প্রশাসন প্রশাসনের কিছু দিন আগে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
যুদ্ধের কিয়েভে 'বিয়ের ফুল', ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে জয় পেল ভালোবাসা
Cooch Behar Municipal election 2022 live: কোচবিহারের ৬টি পুরসভা বিরোধী শূন্য় টার্গেট তৃণমূলের
Birbhum Municipal election 2022 live: অনুব্রতর গড়ে ৬টির মধ্যে ৫টি পুরসভায় নির্বাচন