রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে তাও দেখতে দুই তিন সপ্তাহ পার করেছে। রাশিয়ার হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন। এই অবস্থায় মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য তিনি আবারও বন্দুক হাতে তুলে নিতে চান।
যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে নিজের আর আটকে রাখতে পারলেন না। ৯৮ বছরের বৃদ্ধ মহিলাও এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের (Ukraine) হয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। মাইক্রো-ব্লগিং সাইটের শেয়ার করা পোস্ট অনুযায়ী ওলহা টেলভারডোখালিবোভা নামে এক ৯৮ বছরের মহিলা ইউক্রেনীয় সেনা বাহিনীতে (Army)যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে (2nd world war) যোগদানের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। আর সেই অভিজ্ঞতাই তিনি কাজে লাগাতে চান।
রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে তাও দেখতে দুই তিন সপ্তাহ পার করেছে। রাশিয়ার হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন। এই অবস্থায় মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য তিনি আবারও বন্দুক হাতে তুলে নিতে চান। ইউক্রেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকই মহিলার ইচ্ছের কথা সোশ্যাল মিডিয়া বার্তা দিয়ে জানিয়েছে। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন মহিলার বয়সের কথা ভেবে তাঁর আবেদন নাকচ করে দিয়েছে তারা। কিন্তু মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে প্রশাসন। প্রয়োজনীয় পরামর্সও তারা মহিলার থেকে নেবে বলেও জানিয়েছে।
ইউক্রেনের স্বারাষ্ট্র মন্ত্রকের এই পোস্ট রীতিমত ভাইরাল হয়েগেছে। এখনও পর্যন্ত ৩৮০০ লাইক পেয়েছে। প্রচুর মানুষ এই পোস্টটি শেয়ার করেছেন। আপনিও দেখুন পোস্টটি। অনেকেই মহিলাকে তাঁর দেশভক্তির জন্য স্যালুট জানিয়েছেন।
আপনিও দেখুন সেই পোস্টটি। অনেকেই ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পোস্ট শেয়ার করেছেন। ও মন্তব্য করেছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত জারি রয়েছে রুশ আগ্রাসন। ইউক্রেনের দাবি রাশিয়ার এই হামলার কারণে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬ কোটি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে শরনার্থী হয়ে অন্যত্র চলে গেছে। যাদের অধিকাংশই আশ্রয় নিয়ে পোল্যান্ডের শরণার্থী শিবিরে। এখনও পর্যন্ত প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের হিসেবে প্রায় ৬০০ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই যুদ্ধে। আহতের সংখ্যা ১ হাজার। ইউক্রেনে বর্তমানে রুশ সেনা বাহিনী আবাসিক এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। গুঁড়িয়ে দিচ্ছে স্কুল ও সংস্কৃতিকেন্দ্রগুলি। রুশ হামলার থেকে রেহাই পায়নি শিশু হাসপাতালও।
রাশিয়ার হামলার কারণে বিপর্যস্ত ইউক্রেন। এখনও পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে একাধিক শান্তি বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনও বৈঠকেই সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। তবে আবারও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রুশ প্রেসিডেন্টকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন নিজের ভুল সংশোধনের জন্য এটাই হবে পুতিনের শেষ সুযোগ।