ইতিমধ্যেই রাশিয়ার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়ে নিয়েছে রাশিয়ান সেনা। তার মধ্যে খেরসন এবার নবতম সংযোজন।
যুদ্ধ বিরতির কোনও চিহ্নিই আপাতত দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টে ইউক্রেনের মাটিতে আরও শক্তি বাড়াচ্ছে রাশিয়ান সেনা। শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে রাশিয়ান সৈন্যরা বর্তমানে দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন শহরে রয়েছে। এই শহরেই বলপূর্বক কাউন্সিল ভবনে প্রবেশ করেছে। ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তাদের তরফে এই দাবি করা হয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যেই রাশিয়ার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়ে নিয়েছে রাশিয়ান সেনা। তার মধ্যে খেরসন এবার নবতম সংযোজন। এদিকে একাধিক প্রশাসনিক ভবন থেকে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্য্যালয় রয়েছে এই শহরে। এবার এই শহরটিই ইউক্রেন সেনার হাতে চলে যাওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ।
এই শহর কতটা গুরুত্বপূর্ণ
এদিকে খেরসনে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজারের বেশি মানুষের বাস। এমনকি ইউক্রেনের দক্ষিণের প্রাদেশিক রাজধানীও এটি। পাশাপাশি কৃষ্ণ সাগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরও রয়েছে এখানে। যদিও রাশিয়ান আগ্রাসন এখনও কিয়েভে সরকারকে উৎখাত করতে পারেনি, তবে হাজার হাজার নিহত বা আহত হওয়ার খবর পাওয়ার গিয়েছে। ৮ লক্ষ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে রাশিয়া জানিয়েছে তাদের ৪৯৮ জন সেনা এখনও পর্যন্ত যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে রুশ সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যেই ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন- শুরু ফলপ্রকাশের কাউন্টডাউন, কার হাতে যাচ্ছে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ
আরও পড়ুন- কার দখলে কৃষ্ণনগর, রাত পোহালেই ফলপ্রকাশ
আরও পড়ুন- কার দখলে যাচ্ছে নবদ্বীপ পৌরসভা, শুরু কাউন্টডাউন
এদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের আজ অষ্টম দিন। ইতিমধ্যেই ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ। এদিকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিতীয় দফা আলোচনাও আজ রাশিয়ার বেলার দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এই যুদ্ধ আবহের মধ্যেও খেরসনের অন্যান্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। খাদ্য বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অভাব নেই বলে ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়েছে। এই শহরের জননিরাপত্তা স্বাভাবিক রাখতেও ইতিমধ্যেই রাশিয়ান সেনার সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চালাচ্ছে খেরসন প্রশাসন। এদিকে রাশিয়ান বাহিনী গতকালই ইউক্রেনের ৬০টিরও বেশি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যাঁর ফলে এখনও পর্যন্ত রাশিয়ান হামলায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া ইউক্রেনীয় সামরিক ঘাঁটির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০০ হাজারেরও বেশি। এদিকে এর আগে যুদ্ধ বিরতি নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়। কিন্তু সেই বৈঠকও ছিল কার্যত নিস্ফলা।