রাশিয়ার দাবি একটি অজ্ঞাত প্রজেক্টাইল রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে রোস্তভ অঞ্চলে পড়ে। সেটি রাশিয়ার এফএসবি বর্ডার গার্ড সার্ভিসের তৈরি সমস্ত সীমান্ত সুবিধেগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে। রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থাগুলি একটি বিবৃতি জারি করে তেমনই জানিয়েছে।
অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট (Ukraine-Russia Crisis)। রাশিয়ার যখন বিশ্বের দেশগুলির কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আপাতত তারা ইউক্রেনের ওপর কোনও হামলা চালাবে না, সেই সময়ই ইউক্রেন নাকি রাশিয়ার সীমান্ত (Russian Border) লক্ষ্য করে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে। মস্কোর অভিযোগ ইউক্রেনের (Ukraine) ছোড়া শেলের কারণেই রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের ব্যবহৃত সীমান্ত সুবিধেগুলি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। মস্কোর অভিযোগ ২১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ইউক্রেন একটি শেল ছোঁড়া হয়।
রাশিয়ার দাবি একটি অজ্ঞাত প্রজেক্টাইল রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে রোস্তভ অঞ্চলে পড়ে। সেটি রাশিয়ার এফএসবি বর্ডার গার্ড সার্ভিসের তৈরি সমস্ত সীমান্ত সুবিধেগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে। রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থাগুলি একটি বিবৃতি জারি করে তেমনই জানিয়েছে।
পশ্চিমের দেশগুলি আশঙ্কা করছে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাতে পারে।যদিও রাশিয়া এখনও পর্যন্ত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে আপাতত তারা হামলা চালাবে না। রাশিয়াকে হামলা থেকে নিরস্ত্র করতে আমেরিকাসহ ন্যাটোর দেশগুলি আর্থনৈতিকসহ একাধিক বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। আমেরিকার গোয়েন্দাদের দাবি এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনার সংখ্যা বাড়চ্ছে। ১ লক্ষ ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করা করেছে রাশিয়া।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ ঠেকাতে আসরে নেমেছে ফ্রান্স। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনটে আলোচনার টেবিলে বসাতে চলেছে। চলতি সপ্তাহে রাশিয়া ও আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী বৈঠকে বসতে চলেছে। এই বৈঠকের ওপর অনেকটাই নির্ভর করেছে ইউরোপের যুদ্ধের পরিস্থিতি।
ফ্রান্সের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যস্থতার বাইডেন ও পুতিন ইউরোপের নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন। দুই রাষ্ট্রপ্রধানই এজাতীয় বৈঠকের ওপর ভরসা রাখছেন ও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বৃহস্পতিবার ইউরোপের কোনও একটি স্থানে বৈঠক করবেন বলেও সূত্রের খবর। আর সেই পর্যন্ত রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করবে না বলেও জানিয়ে রুশ প্রশাসন। মার্কিন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কূটনৈতিক আলোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বদা তৈরি রয়েছে। যুদ্ধ এড়াতে কূটনীতির ওপরই ভরসা রাখছেন জো বাইডেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামী শকুন্তলা চৌধুরী প্রয়াত, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদীর
ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান চিত্রার 'হিমালয়ের বাবা' কে, খুলছে রহস্যের জট
হিজাবকাণ্ডের মধ্যে কর্নাটক বজরং দলের সদস্য খুন, বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা
অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকেই গোটা পরিস্থিতির জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন রাশিয়ার ১৯৪৫ সালের পর ইউরোসে সবথেকে বড় যুদ্ধের পরিকল্পনা নিয়েছে।