ইউরোপ ছাড়া বাকি বিশ্বের পরিস্থিতি উদ্বেগের, এবার করোনার মূল কেন্দ্র হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া

  • গত ৯ দিন বিশ্বের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দৈনিক ১ লক্ষ ছাড়িয়েছে
  • রবিবার আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৬ হাজার যা রেকর্ড তৈরি করেছে
  • ইউরোপের পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বাকি বিশ্বের অবস্থা খারাপ হচ্ছে
  • ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে 

Asianet News Bangla | Published : Jun 9, 2020 3:05 AM IST / Updated: Jun 09 2020, 09:42 AM IST

বিশ্বে করোনা মহামারী পরিস্থিতি প্রতিদিনই খারাপ হচ্ছে। গত রবিবার গোটা বিশ্বে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ১ লক্ষ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ। যা দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় রেকর্ড বলেই জানাাচ্ছেন  হু-র  ডিরেক্টের টেড্রস আধানম। বিশ্ব জুড়ে যে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হবে তা নিয়ে ফের একবার সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

দুই আমেরিকা মহাদেশকে নিয়েই এখন সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রয়েছে 'হু'। কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে এখন বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে আমেরিকা। এই অবস্থায় রোগ যাতে আরও ছড়ানোর সুযোগ না পায় সেকারণে আন্দোলনকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বারবার পরামর্শ দিচ্ছে 'হু'। 

 

 

গত ডিসেম্বরে চিনে নোভেল করোনাভাইরাসের  প্রাদুর্ভাবের পর ছয় মাস কেটে গিয়েছে। আজ পর্যন্ত এই রোগে সারা বিশ্বে অন্তত পক্ষে ৭০ লক্ষ লোক আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪ লক্ষেরও বেশি লোক মারা গিয়েছেন। পূর্ব এশিয়ার পরে এই রোগের এপিসেন্টার ছিল ইউরোপ। এখন সেই জায়গা নিয়ে নিয়েছে আমেরিকার দেশগুলি। “ইউরোপে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও, বাদ বাকি বিশ্বে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে”, সাংবাদিক সম্মেলনে সেকথা বলেন বলেন হু-র প্রধান টেড্রস আধানম ঘেব্রেয়েসাস ।

টেড্রস বলেন, গত ১০ দিনের মধ্যে ৯ দিনই দৈনিক গড়ে ১ লক্ষ করে আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে আর রবিবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৩৬ হাজারেরও বেশি লোক। এক দিনের হিসাবে এটা একটা রেকর্ড। এর ৭৫ শতাংশই আক্রান্ত হয়েছে আমেরিকার দেশগুলি এবিং দক্ষিণ এশিয়ায়।

মহামারীর বিশ্বে আরও কাছাকাছি হাসিনা-জিনপিং, বাংলাদেশকে করোনা মুক্ত করতে চিকিৎসক দল পাঠাল চিন

মাত্র ৩ মাসেই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে জিত, এবার করোনা মুক্ত রাষ্ট্র হল নিউজিল্যান্ড

বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষের চিকিৎসা নয় , স্বাস্থ্যকর্মীদের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট ফাঁস হল রাজস্থানে

এই অবস্থায় বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনকে সমর্থন করলেও তা যেন নিরাপদ দূরত্ব রেখে করা হয় সেই অনুরোধই করেছেন  'হু' প্রধান। এর মধ্যেই ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশেষ করে এই অঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরী স্বাস্থ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডা. মাইকেল রায়ান জানান, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এখনও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ! তার মতে, এই অঞ্চলে এখনও সেভাবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেনি। এখনও সংক্রমণের ব্যাপকতার সম্মুখীন হয়নি দেশগুলো। এর আগে ২৫ মে ডা. রায়ান জানিয়েছিলেন, গোটা বিশ্বেই এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বা ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ শুরু হতে চলেছে। এ পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণের ঘটনা।

 ডা. রায়ান  বলেন, সব দেশেই ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতে পারে। তাই এখন কোনো রকম অসাবধানতা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। এই সময় অনেক দেশেই করোনা পরিস্থিতি চরমে পৌঁছাতে পারে। তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বেশ কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।

 

 

 এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারী বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ জানান, যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং যাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ, গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়াতে তাদের অবশ্যই তিন স্তরবিশিষ্ট মাস্ক পরা উচিত। যে ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ কাপড়ের মাস্কে করোনার সংক্রমণ রোখা যাবে না। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতির জন্য সবাইকে সতর্ক করে দিচ্ছে 'হু'।
 

Share this article
click me!