কলম্বো বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি জাহাজে তিন জন বড় বড় সুটকেশ তুলছে। যেগুলি রাজাপক্ষের বলে দাবি করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খরব অনুযায়ী রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।
গণবিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা। এই অবস্থায় দেশের প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ শনিবার সকালেই বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দল তাঁর প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের সরকারি বাসভবন বা শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি ভবনের দখল নিয়েছে। সুইমিং পুল ও রান্নাঘরের বিদ্রোহীদের তাণ্ডবের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এছে। কিন্তু তারপরই মধে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে যা দেখে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষের দাবি নৌ বাহিনীর বিশেষ জাহাজে করেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে কলম্বো বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি জাহাজে তিন জন বড় বড় সুটকেশ তুলছে। যেগুলি রাজাপক্ষের বলে দাবি করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খরব অনুযায়ী রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। কলম্ব বন্দরের হারবার মাস্টার বলেছেন, একটি দল এসএলএনএস সিন্দুরালা ও এসএলএনএস গজবাহুতে চড়ে বন্দর ছেড়ে চলে গেছে। তবে তারা কারা তানিয়ে তাঁর স্পষ্ট ধারনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে শ্রীলঙ্কায় বড়সড় কিছু ঘটতে চলেছে এমন আশঙ্কা থেকেই শুক্রবার রাতেই রাজাপক্ষকে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে সেনার প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে তারপরে তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য নেই।
অন্যদিকে প্রবল গণ-আন্দোলনের কারণে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। শনিবার একটি বিবৃতি জারি করে এই কথা জানিয়েছেন তিনি। তারপরই তিনি পদত্যাগ করেন। যদিও আগেই শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে পরিস্থিতির একটি সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে দলের একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন। তিনি সংসদ তলব করার জন্য স্পিকারকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু এদিনের আন্দোলন থেকে তাঁর পদত্যাগের জোরালো দাবি ওঠে। যা আর তিনি অস্বীকার করতে পারেননি। গোটা শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠেছে। সরকার একাধিক বাড়ির দখল নিয়েছে আন্দোবনকারীরা। পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষ হয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরেই আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা। ক্রমশই বড় আকার নিচ্ছিল গণবিক্ষোভ। ব্ল্যাকাউট প্রায় দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। দেশের মুদ্রাস্ফীতি চরমে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জ্বালানি ও খাদ্য সংকট। জিনিসপত্রের আমদানি করতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা শেষ। রিজার্ভব্যাঙ্কের ভাঁড়ার শূন্য। এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে দেশের মানুষ। বিরোধী দল আন্দোলনকারীরা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেওয়ার পর এদিন থেকে কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ডাকা হয়েছে গণসমাবেশও।
টেলিকম ব্যবসায় মুখোমুখি টক্কর দুই ধনকুবেরের, 5G নিলামে অংশ নিয়েছে বলে ঘোষণা আদানি গ্রুপের
শিয়ালদা-সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রোর উদ্বোধনে কেন ব্রাত্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশ্ন তৃণমূলর
বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলাঙ্কা- পালাতক রাজাপক্ষে, রাষ্ট্রপতি ভবনের রান্নাঘর আর পুলের দখল সাধারণের হাতে