মঙ্গলবার পড়ুয়ারা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রটি। তারপর থেকে এটাই শ্রীলঙ্কার সামনে সবথেকে কঠিন সময়। দেশের জল, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খাবারের তীব্র ঘাটতি রয়েছে।
ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপক্ষে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। তাঁর সহযোগীরা পদত্যাগ করেছে। যার কারণে অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় নতুন করে রাজনৈতিক সংকটও শুরু হয়েছে। অন্যদিকে পেটে খিদে নিয়েই এবার আন্দোলনে নেমেছে দেশের ছাত্র সমাজ। মঙ্গলবার পড়ুয়ারা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রটি। তারপর থেকে এটাই শ্রীলঙ্কার সামনে সবথেকে কঠিন সময়। দেশের জল, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খাবারের তীব্র ঘাটতি রয়েছে।
শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে যাচ্ছে। সোমবারই দেশের ২৫ জন মন্ত্রী একযোগে পদত্যাগ করেছিলেন। তারপর প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ সরকার তৈরির আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধীরা রাজাপক্ষের আমন্ত্রণকে অযৌক্তিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। পাশাপাশি তারা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে এদিন সরকার পক্ষের জোট থেকে আরও ৪১ জন সাংসদ বেরিয়ে গেছেন। তাতেই শ্রীলঙ্কার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন সরকার পক্ষ।
শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে রাখতে আগেই কার্ফুর জারি করা হয়েছিল। বিক্ষোভ দেখানোর ওপর পুলিশের সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের নির্দেশকে উপাক্ষে করেই প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই এদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়া ও আইনজীবীরা। শ্রীলঙ্কার পুলিশ বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করেছে। রাষ্ট্রপতির দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সঙ্গে সঙ্গেই উইজেয়াদাসা রাজাপক্ষে বলেছেন তাঁরা যদি এখনও দেশে কাজ করতে শুরু না করেন তাহলে দেশে রক্তের নদী বয়ে যাবে। অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়ায়ে সরকারি কর্মীরাও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তাদের দাবি সরকারের ভুলের জন্যই শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতি হয়েছে।
২২৫ সদস্যের হাউশে সরকার পক্ষ সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়েছে। বর্তমানে ৫ টি আসন কম রেয়এছ। তবে এখনও পদত্যাগী বিধায়করা আনাস্থা প্রস্তাব আনছেন এমন কোনও কথা শোনা যায়নি। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই রাজাপক্ষে ও তার বড় ভাইর প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। সংসদ প্রায় অচল- এই অবস্থায় কার্ফুর মেয়াদও ফুরিয়ে আসছে। গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কার উত্তর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্ফু জারি করা হয়েছে। যা আগামী সপ্তাহে শেষ হয়ে যাবে। তাই সরকারপক্ষ বিরোধীদেরও আহ্বান করেছিল।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছেই তাঁকে নিগ্রহের রিপোর্ট চাইল রাজ্য সরকার
হতাশা কাটিয়ে উঠে দলের সর্বস্তরের ঐক্যের ডাক, কংগ্রেসের বৈঠকে সনিয়া গান্ধী
শাহরুখ-রণবীর সকলেই ফেল, নিজেকে সলমন-অমিতাভের সঙ্গে রেখেই বিতর্কিত মন্তব্য কঙ্গনা রানাউতের