শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গোটা দেশজুড়ে জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ও সর্বদলীয় সরকার গঠন করতে এদিনই পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন।
গণবিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পদত্যাগ করে শ্রীলঙ্কায় সর্বদলের এক জোট সরকারের পথ প্রশস্থ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। কিন্তু তালে গণবিক্ষোভের আগুন নেভাতে পারলেন না। উত্তেজিত জনতা শনিবার রাতের দিকে আগুন লাগিয়ে দেয় তাঁর নিজস্ব বাসভবনে।
শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গোটা দেশজুড়ে জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ও সর্বদলীয় সরকার গঠন করতে এদিনই পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। তারপরই পদত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা বিক্রমাসিংহের বাড়িতে প্রবেশ করে । বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয় দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা। রীতিমত উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। তারপরই ওই এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া সত্ত্বেও তারা তার বাড়িতে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির আগে বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষের বাড়িতে ঢুকে পড়ে তছনছ করে দেয়। যদিও তার আগেই রাজাপক্ষেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সূত্রের খরব ৭৩ বছর বয়সী রাজাপক্ষে দেশ চেড়ে পালিয়ে গেছেন।
এই অবস্থায় চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া বিভাগ জানিয়েছে সর্বদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়া পরি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত হওয়ার পর বিক্রমাসিংহে পদত্যাগ করবেন। ততদিন পর্যন্ত তিনি দ্বীপারাষ্ট্রটির দায়িত্বে থাকবেন।
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলীয় নেতা রাউল হাকিম জানিয়েছেন সাংসদরা চান দ্রুত রাজাপক্ষে ও বিক্রমাসিংহে পদত্যাহ করুন। দেশের সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হবেন দেশের স্পিকার। তিনি সাতদিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করতে পারবেন। এই গোটা বিষয়টি চিঠি দিয়ে শ্রীলঙ্কার স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্দেনাকে জানান হয়েছে। স্পিকারও একটি চিঠি লিখে রাজাপক্ষেকে বিস্তারিত জানিয়েছেন । পাশাপাশি তাঁকে আর প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করার আবেদন জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাজাপক্ষের দাবিতে এখনও অবধি অনড় রয়েছে দেশের অধিকাংশ মানুষ।
২২ মিলিয়ন মানুষের বাস শ্রীলঙ্কায়। কয়েক মাস ধরেই অর্থনৈতিক সংকট চলছে। দেশের বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রায় নেই বললেই চল। খাদ্য থেকে শুরু করে জ্বালানি- সবই বাড়ন্ত। ওষুধপত্র কিছুই নেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারও প্রায় শূন্য।
আরও পড়ুনঃ
অমরনাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে ধুপগুড়ির ৬ যুবক, ২ জনের হদিশ মিললেও ৪ জন এখনও নিখোঁজ
Sri Lanka Crisis: ছুটতে ছুটতেই শ্রীলঙ্কা ছাড়লেন রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষে, ইস্তফা দিলেন প্রধানমন্ত্রী