প্রতিদিনই পাতে নষ্ট হয় খাবার? স্টপ ফুড ওয়েস্ট ডে-তে জানুন আপনার ফেলা খাবারে বাঁচতে পারে কত শিশু

স্টপ ফুড ওয়েস্ট ডে-র লক্ষ্য খাদ্য বর্জ্যের পরিসংখ্যান বদলে দেওয়া। দিন যত এগোবে খাদ্য বর্জ্যের পরিমাণ যাতে কমে, সেই লক্ষ্যেই এই বিশেষ দিনটি পালিত হয়। 

Parna Sengupta | / Updated: Apr 27 2022, 09:07 AM IST

স্টপ ফুড ওয়েস্ট ডে হল খাদ্য বর্জ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আন্তর্জাতিক দিন, যা বিশ্বের একটি গুরুতর এবং ক্রমবর্ধমান সমস্যাকে তুলে ধরে। জানেন কি, বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রতি বছর হয় হারিয়ে যায় বা নষ্ট হয়? অথচ করুণ ব্যাপার হল সেই বিশ্বেই কোটিরও বেশি শিশু দুবেলা পেট ভরে খেতে পায় না। অপুষ্টি আর এক পেট খিদে নিয়ে বড় হয় তারা।

২০১৭ সালে খাদ্য পরিষেবার জগতের অন্যতম লিডিং ব্র্যান্ড কম্পাস গ্রুপ চালু করে স্টপ ফুড ওয়েস্ট ডে। শপথ নেওয়া হয় এই দিনে উপভোক্তা, কর্পোরেট এবং প্রভাবশালীরা তিরিশটিরও বেশি দেশে খাদ্য অপচয়ের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং পরিবর্তনকে অনুপ্রাণিত করতে একসঙ্গে কাজ করবে।

কীভাবে কার্যকরভাবে খাদ্য ব্যবহার এবং সংরক্ষণ করা যায় সে সম্পর্কে বোঝার অভাবের কারণে খাদ্যের অপচয় সারা বিশ্বে একটি মারাত্মক মহামারীর আকার নিয়েছে।  তবে খাদ্যের অপচয় বন্ধ করা যেতে পারে।

স্টপ ফুড ওয়েস্ট ডে-র লক্ষ্য খাদ্য বর্জ্যের পরিসংখ্যান বদলে দেওয়া। দিন যত এগোবে খাদ্য বর্জ্যের পরিমাণ যাতে কমে, সেই লক্ষ্যেই এই বিশেষ দিনটি পালিত হয়। 

কেন পালন করব স্টপ ফুড ওয়েস্ট ডে

কেন পালন করব স্টপ ফুড ওয়েস্ট ডে, সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তার উত্তরে কিছু তথ্য তুলে ধরছি। 

১. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে ২০১৬ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৫.৬ মিলিয়ন শিশু মারা গেছে। যা গড়ে ১৫ হাজার শিশুর মৃত্যুর হিসেব দেখাচ্ছে। পাঁচ বছর বয়সের আগে শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি (প্রতি ১০০০ জীবিতদের মধ্যে ৭৬.৫ শতাংশ), ইউরোপের তুলনায় প্রায় ৮ গুণ বেশি।

২. প্রতি বছর প্রায় ৩.১ মিলিয়ন শিশু অপুষ্টির কারণে মারা যায় (UNICEF, ২০১৮)। ক্ষুধা এবং অপুষ্টি বিশ্বব্যাপী শিশু মৃত্যুর অর্ধেকেরও বেশি ক্ষেত্রে মূল কারণ। কারণ অপুষ্টি শিশুদের অসুস্থতা এবং রোগকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৩. যেসব শিশুরা কম পুষ্টি পায় তারা প্রতি বছর ১৬০ দিনের অসুস্থতায় ভোগে। অপুষ্টি হাম এবং ম্যালেরিয়া সহ প্রতিটি রোগের প্রভাবকে বাড়িয়ে তোলে। মৃত্যুর আনুমানিক অনুপাত যেখানে অপুষ্টি একটি অন্যতম কারণ, ডায়রিয়া (৬১%), ম্যালেরিয়া (৫৭%), নিউমোনিয়া (৫২%), এবং হাম (৪৫%)। 

৪. ৬৬ মিলিয়ন প্রাথমিক স্কুলে যাওয়া শিশুরা উন্নয়নশীল দেশগুলিতে  ক্ষুধার্ত অবস্থায় ক্লাসে উপস্থিত হয়। ২৩ মিলিয়ন যারা আফ্রিকায় বাস করে, যা তাদের শেখার ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে এই ক্ষিধে বোধ। 

তাই এবার বোধহয় সময় এসেছে চোখ খোলার। খাবার নষ্ট করা বন্ধ করুন। চেষ্টা করুন খাবার নষ্ট না করে সেই খাবার কোনও ক্ষুধার্তকে দিতে। কে বলতে পারে, আপনার এই এই উদ্যোগে হয়ত প্রাণ বাঁচতে পারে কয়েকটা শৈশবের। সে চেষ্টা তো করা যেতেই পারে, তাই না? 

আরও পড়ুন- করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ-নিহত তিন চিনা নাগরিক, দেখুন ঘটনাস্থলের ভিডিও

আরও পড়ুন- টুইটারের সিইও-র পদ থেকে ছাঁটাই হচ্ছেন পরাগ আরওয়াল? কাজ হারালে পাবেন কোটি কোটি টাকা

আরও পড়ুন- ২০৩০ সালের মধ্যে কি ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী? বছরে ৫৬০টি প্রকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসতে চলেছে

Share this article
click me!