শুরু করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ, ২ সন্তানকে নিরাপদে রাখতে প্রথম ডোজ নিলেন এক মা

  • করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক ব্যবহার
  • পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হল আমেরিকায়
  • ৪৩ বছরের এক মহিলার শরীরে প্রথম প্রয়োগ
  • মোট ৪৫ জনের শরীরে প্রয়োগ করা হচ্ছে

Asianet News Bangla | Published : Mar 17, 2020 7:26 AM IST / Updated: Mar 17 2020, 12:59 PM IST

বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে করোনা ভাইরাস। নতুন এই ভাইরাসকে কী ভাবে কাবু করা যায় নিয়ে নিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যেই করোনা ভাইরাস প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়ে গেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সোমবারই আমেরিকায় প্রথমবার মানবদেহে এই পরীক্ষা করে দেখা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিউট অব হেলথের অধীনে ওয়াশিংটনের স্বাস্থ্য গবেষণা ইন্সটিউটে এই প্রতিষেধকের পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও সম্ভাব্য এই প্রতিষেধকের কার্যকারিতা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে আরও ১৮ মাস সময় লাগবে বলে মনে করছেন দেশটির স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। 

আরও পড়ুন: বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশে করোনা মোকাবিলায় সফল মোদী প্রশাসন, স্বীকৃতি দিচ্ছে 'হু'

সিয়াটেলের চার জনের শরীরে প্রথমবার এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করলেন বিজ্ঞানীরা। প্রথম প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয় সিয়াটেলের ৪৩ বছরের এক মহিলার শরীরে। সেচ্ছাসেবী  ওই  মহিলা ২ সন্তানের মা বলে জানা গেছে। এইআইএইচ এবং মর্ডানা ইনকের সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিষেধক। যাদের শরীরে এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হচ্ছে তাঁদের সংক্রমণের কোনও আশঙ্কা নেই বলেই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। 

এই প্রতিষেধকগুলিতে এখনও ভাইরাস মেশানো হয়নি বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। এই প্রতিষেধক থেকে মানবদেবে কোনওরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে  কি না, সেটা খতিয়ে দেখাই এই পরীক্ষার লক্ষ্য। পরবর্তী সময়ে আরও বড় আকারে এই পরীক্ষা বিজ্ঞানীরা করবেন বলে জানা যাচ্ছে। 

আরও পড়ুন: চিনে জমা পড়ছে গুচ্ছ গুচ্ছ বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন, কাঠগড়ায় সেই করোনা ভাইরাস

জানা গিয়েছে, মোট ৪৫ জন অল্প বয়সি মানুষের মধ্যে এই প্রতিষেধক বিভিন্ন মাত্রায় প্রয়োগ করা হবে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশই বিজ্ঞানীরা করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। স্থায়ী প্রতিষেধক তৈরি করতে এমনও বেশ কয়েকবছর লাগবে বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা। এই অবস্থায় আপাতত কয়েক মাসের জন্য করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে আমেরিকা, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া সহ বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলি। 

করোনা সংক্রমণে এখনও প্রর্যন্ত বিশ্বে ১ লক্ষ ৭৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও এই ভাইরাসে মৃত্যুহার তেমন বেশি নয় বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা। তবে বয়স্কদের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় তাঁরাই বেশি প্রাণ হারাচ্ছেন কোভিড-১৯ বাইরাসে। বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়া ৬ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে তাই অধিকাংশই বয়স্ক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর হিসেব অনুযায়ী এই ভাইরাসে অল্প অসুস্থ হওয়া ব্যক্তির সুস্থ হতে ২ সপ্তাহ সময় লাগছে। তবে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লেগে যাচ্ছে।


 

Share this article
click me!