করোনার প্রতিষেধকের জন্য তরুণদের অপেক্ষার প্রহর হবে লম্বা, হু-এর পক্ষ থেকে বার্তা সৌম্যা স্বামীনাথনের

  • করোনার প্রতিষেধক নিয়ে বার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার 
  • ২০২২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তরুণদের 
  • জানিয়েছেন সৌম্যা স্বামীনাথন 
  • মৃত্যুর হার বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা 
     

Asianet News Bangla | Published : Oct 15, 2020 9:09 AM IST

করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে বিশ্ব। আগামী বছর গোড়ার দিকে বেশ কয়েকটি প্রতিষেধক হাতে আসতে পারে বলেও দাবি করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু কী ভাবে বিশ্বের সকল মানুষের কাছে প্রতিষেধক পৌছে দেওয়া যাবে তারই রোডম্যাপ তৈরি করতে শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গবেষক সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যকর  আর তরুণদের করোনার প্রতিষেধক পাওয়ার জন্য ২০২২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রবীণ, অসুস্থ আর জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তব্যক্তিদের আগে প্রতিষেধক দেওয়ার দিকেও জোর দেবে। 

করোনার প্রতিষেধক সংরক্ষণে কোল্ড হাব, সংগ্রহ থেকে টিকা প্রদানের জন্য তৈরি ব্লু প্রিন্ট ...

ডি-কোম্পানির হাত রয়েছে কেরলের সোনা পাচারকাণ্ডে, এনআইএর নয়া দাবিতে চাঞ্চল্য ...

সৌম্যা স্বামীনাথন আরও জানিয়েছেন প্রথমে জরুরি পরিষেবার যুক্তদেরও প্রতিষেধক দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। তবে সেখানেও রয়েছে তালিকা প্রাথা। কারণ, কারা সবথেকে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন তা খতিয়ে দেখে তারপরই প্রতিষেধক বন্টন করা হবে। আর তাই বিশ্বের সুস্থ তরুণদের প্রতিষেধকের জন্য আরও ২০২২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। স্বামীনাথন আরও জানিয়েছেন গোটা বিশ্বের সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা প্রদান করতে হবে। তবেই রুখে দেওয়া যাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। 


বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে মৃত্যুর হার নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশের বিষয় সতর্ক করা হয়েছে। কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর হার আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইউরোপের দেশগুলিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়েছে বলেও মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় ইউরোপের দেশগুলিতে প্রতিদিন নতুন করে প্রায় এক লক্ষ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। ব্রিটেন, ইতালিসহ বেশ কয়েকটি দেশে নিত্যদিনই নতুন করে ২০ হাজারেও বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। তাই সংক্রমণ নিয়ে এখনও সরকারি প্রোটোকল মেনে চলতে হবে বলেও জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। 

Share this article
click me!