বছর শেষে ভাবিয়ে তুলেছে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন। এটি কি নতুন বছর থেকে আরও ভয়ঙ্কর রূপ গ্রহণ করবে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়ে দিল করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন নিয়ে এখনও পর্যন্ত ভয় পাওয়ার বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি অবস্থার প্রধান মাইক রায়ান জানিয়েছেন করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন নিয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন আশঙ্কাজনক কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এটিকে মহামারি বিবর্তনের স্বাভাবিক অংশ হিসেবেই চিহ্নিত করা যেতে পারে। নতুর স্ট্রেনের মাধ্যে সংক্রমণ দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এটি থেকে যে মানুষ গুরুত্ব অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলিতে নতুন স্ট্রেনের প্রদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেছে। সংক্রমণ রুখতে দিয়ে হবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিতে ভ্রমণের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করা প্রয়োজন বলেও তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁর ঘোষণার অনেক আগেই ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতসহ ইউরোপের একাধিক দেশ ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করেছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে নতুন স্ট্রেন সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারনা থাকা খুবই জরুরি। ভাইরাসটি বিবর্তনের একটি একটি জরুরি অংশ। এখনও পর্যন্ত এটি নিয়ে ভয় পাওয়ার তেমন কোনও কারণ নেই বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি দেশগুলি নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয় করার জন্য প্রথম থেকেই যে সাবধানতা অবলম্বন করেছে তারও প্রশংসা করেন তিনি।
বিদায়কালে আরও একবার বন্ধুতের স্বীকৃতি, ট্রাম্প মার্কিন সম্মান প্রদান করলেন নরেন্দ্র মোদীকে ...
বালুচ প্রতিবাদী করিমার রহস্য মৃত্যু কানাডায়, ISI-এর হাত রয়েছে বলে সন্দেহ ...
অন্যদিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন করোনাভাইরাসটি মরশুমি ইনফ্লুয়েঞ্জার থেকে অনেক ধীর গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। মরশুমি ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রায়শই রূপ পরিবর্তন করে। তিনি আরও বলেন প্রতিটি ভাইরাসই পরিবর্তন হয়। মিউটেশন প্রতিটি ভাইরাসকে আরও বলে সংক্রামক বা শক্তিশালী করে না। তিনি বলেন সার্স কোভিড ২ ভাইরাসটি ইনফ্লুয়েজ্ঞার তুলনায় অনেক ধীর গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। এর পরিবর্তন ও পরিব্যক্তির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। বর্তমানে করোনাভাইরাস প্রতিহত করার জন্য যেসব ওষুধ ও থেরাপি ব্যাহার করার হচ্ছে, তাতে নতুন স্ট্রেন তেমনভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। তাই আশা করা যায় এটি এখনও অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদীয়মান রোগ ও জুনোসিস ইউনিটের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেন, ব্রিটিশ কর্মকর্তারা করোনার রূপান্তরিত রূপটি পর্যবেক্ষণ করছেন। তাতে ভাইরাসের প্রজনন ১:১ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়ে ১ :৫ হয়েছে। তাতে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থা তুলনামূলকভাবে খারাপ হওয়ার এখনও পর্যন্ত কোনও লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তাই এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এটি সহজে ছড়িয়ে পড়ে কিনা, অসুস্থতার মাত্রা কতটা হয় আর অ্যান্টিবডি কীভাবে সংক্রমণে প্রতিক্রিয়া দেখায়।