World Earthquake News: ভূমিকম্পের ইতিহাস বলছে, চিলির ভূমিকম্পের কাছে এই মায়ানমার-থাইল্যান্ডের ভূমিকম্প কিছুই নয়। চিলির ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিলো ৯.৫। যা পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প বলে বিবেচিত হয়।
World Earthquake News: ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মায়ানমার-থাইল্যান্ড। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.২। শুক্রবারের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে শুধু ব্যাংককই নয়, কম্পন অনূভূত হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত, কলকাতাতেও। ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে লাল চিনেও। জানা গিয়েছে, এখনও কাটেনি ভূমিকম্পের রেশ। পর পর দু'বার তীব্র ভূমিকম্পের জেরে বিধ্বস্ত অবস্থা ব্যাংককের। ভেঙে পড়েছে বহু নির্মীয়মাণ বহুতল। চোখেমমুখে স্পষ্ট আতঙ্কের ছাপ। এখনও পর্যন্ত থাইল্যান্ডে ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নিখোঁজ অন্তত ১০০ জন। অধিকাংশ মানুষ ও শ্রমিকদের ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধার কাজ। ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত থাইল্যান্ডই নয় এর আগে বহুবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে চিলি। ভূমিকম্পের তীব্রতায় বদলে গিয়েছে মানচিত্র।
আপনি কী জানেন পৃথিবীর ইতিহাসে সবথেকে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত হয়েছে কোন দেশগুলি?
ভূমিকম্পের ইতিহাস বলছে, চিলির ভূমিকম্পের কাছে এই মায়ানমার-থাইল্যান্ডের ভূমিকম্প কিছুই নয়। চিলির ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিলো ৯.৫। যা পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প বলে বিবেচিত হয়।
জানা গিয়েছে, চিলির ভালদিভিয়ায় যে ভূমিকম্প হয়েছিল তার মাত্রা ছিলো ৯.৫। প্রায় ১০ মিনিট ধরে হওয়া এই ভূমিকম্পের কম্পনের মাত্রা এতটাই প্রবল ছিলো যে তা প্রশান্ত মহাসাগর পেরিয়ে এটি ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল- হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ, জাপান ও নিউ জিল্যান্ডকে। ভালদিভিয়া হল চিলির উপকূলবর্তী একটি শহর। ভূমিকম্প এই শহরে এতটাই ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল যে, বদলে গিয়েছিল শহরের ভূমির গঠন, আকৃতি। অনেক এলাকা ডুবে গিয়েছিল জলে।
সাধারণত যে কোনও ভূমিকম্প কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। কিন্তু চিলির ভালদিভিয়ার এই ভূমিকম্পে ১০ মিনিট ধরে তাণ্ডবলীলা চালিয়ে রেকর্ড করেছিল। অনেক ভৌগলিকবিদরাও এমনটাই মনে করেন। ভূমিকম্পের ফলে জলের উচ্চতা পৌঁছে যায় ৮২ ফুট উঁচুতে। যারফলে এটি সুনামির আকার নেয়। এনেক উপকূলীয় শহর চলে যায় জলের তলায়। ভূমিকম্পের আকস্মিকতায় প্রাণ হারান হাজার হাজরা মানুষ। এই সুনামিপ ফলে অন্তত ৬ হাজার মানুষ সেই সময় প্রাণ হারিয়ে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
ভূবিজ্ঞানীদের মতে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৪, ৬, ৭-এর মধ্যে থাকলে তা বাড়িঘর দোলানো, বহুতল ভেঙে ফেলে দিতে পারে। কিন্তু রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা আটের বেশি হলেই তা একটি দেশকে ধ্বংস করে দেওয়ার মতন ক্ষমতা রাখে।
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালের ২২ মার্চ চিলির সেদিনের ভূমিকম্পের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল প্রকৃতির কাছে মানুষ কতটা অসহায়। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজ্ঞানের অগ্রগতি হলেও প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চললে ফল যে আরও খারাপ ভাবে ফের মায়ানমার-থাইল্যান্ডকে দিয়ে তার প্রমাণ দিল প্রকৃতি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।