হামাসের দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল- উত্তর গাজায় বাস্তুচ্যুত প্যালেস্টাইনের মানুষদের ফিরে আসতে দেওয়া, মানবিক সাহায্য বাডৃান। যার মধ্যে রয়েছে ওষুধ, জল , খাবারের সরবরাহ জোরদার করা।
আলোচনায় ইজরায়েল যদি প্যালেস্টাইনের গোষ্ঠীগুলির দাবি মেনে নেয় তাহলে আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বিরতি নিশ্চিত করা যেতে পারে। রবিবার এক হামাস কর্তা সাংবাদ মাধ্যমের সামনে এমনটাই দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, যদি ইজরায়েল হামাসের দাবিতে সম্নত হয় তাহলেই যুদ্ধ বিরতি সম্ভব।
হামাসের দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল- উত্তর গাজায় বাস্তুচ্যুত প্যালেস্টাইনের মানুষদের ফিরে আসতে দেওয়া, মানবিক সাহায্য বাডৃান। যার মধ্যে রয়েছে ওষুধ, জল , খাবারের সরবরাহ জোরদার করা। এই দাবিগুলি যদি ইজরায়েল সরকার মেনে নেয় তাহলে আহামী এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই যুদ্ধে কিছুটা হলেও ইতি টানতে পারে হামাসরা।
গাজায় দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ বিরতির জন্য দুই পক্ষের কাছেই একটি গ্রহণযোগ্য চুক্তি করার জন্য রবিবার ইজরায়েল কর্তৃপক্ষ ও হামাসরা প্রতিনিধি দল কায়রোকে আলোচনা করেছে। সেখানেই এক হামাস কর্তা এই মন্তব্য করেছেন। শনিবার এক উর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধে ৬ সপ্তাহ বিরতির কাঠামোটি ইজরায়েল চুক্তির সঙ্গেই ছিল। এখন নির্ভর করছে হামাসদের ওপর। মার্কিন কর্মকর্তার অনুমান গত ৭ অক্টোবর হামাসরা যে হামলা চালিয়েছিল সেই সময় যাদের পণবন্দি করা হয়েছে তাদের অনেকেই এখনও হামাসদের অধীনে রয়েছে। সেই পণবন্দিদেরও মুক্তি দেওয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
অলোচনায় অংশ নিয়েছেন এমন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে আক্ষরিত অর্থেই যুদ্ধ বিরতি সম্ভব। যুদ্ধ বিরতি এখন অনেকটাই সোজা হয়ে গেছে। কারণ যে চুক্তিটি আলোচনার টেবিলে রয়েছে সেটির অধিকাংশই মেনে নিয়েছে ইজরায়েল প্রতিনিধি দল। বাকিটা নির্ভর করছে হামাসদের ওপর।
মধ্যস্থতাকারীরা প্রায় পাঁচ মাসের চলমান সংঘাত বন্ধ করতে রমজানের আগে যুদ্ধ বিরতি শুরু করার জন্য প্রবলভাবে উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্যালেস্টাইনে মানবিক সাহায্য বাড়িয়েছে আমেরিকা। এয়ারড্রপের মাধ্যমে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সি-১৩০ সামরিক বিমানের মাধ্যমে ৩৮ হাজারেও বেশি জনের খাবার পাঠান হয়েছে। প্যালেস্টাইনের সোশ্যাল মিডিয়াগুলিতে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে খাবের বাক্স ফেলা হচ্ছে।