সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি আর সেইসঙ্গে জাত চেনাচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী। চিনকে উপযুক্ত জবাব দিতে এবার দক্ষিণ চিন সাগরে ফিলিপিন্সের সঙ্গে যৌথ মহড়া দিল ভারত।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি আর সেইসঙ্গে জাত চেনাচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী। চিনকে উপযুক্ত জবাব দিতে এবার দক্ষিণ চিন সাগরে ফিলিপিন্সের সঙ্গে যৌথ মহড়া দিল ভারত।
বারংবার অভিযোগ এবং যোগ্য জবাব। ভারতীয় মহাসাগরে একাধিকবার চিনা জাহাজের চরবৃত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর এবার সরাসরি জবাবের রাস্তায় গেল ভারত। সিঙ্গাপুরের পর এবার ফিলিপিন্স নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া সারল ইন্ডিয়ান নেভি।
চিনকে জবাব দিতে এবার দক্ষিন চিন সাগরে, বেজিং-এর নাকের ডগায় পৌঁছে গেল ভারতীয় নৌবাহিনীর তিনটি যুদ্ধ জাহাজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, মূলত ফিলিপিন্স এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে ইন্ডিয়ান নেভির তিনটি রণতরী এই মহড়ায় শামিল হয়।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগ তাদের স্ট্র্যাটেজিক অবস্থান থেকেই দক্ষিণ চিন সাগরে এই তিনটি যুদ্ধ জাহাজকে পাঠায়। সেই তিনটি রণতরী বর্তমানে সিঙ্গাপুর ঘুরে ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্স উপকূলে পৌঁছে গেছে। ভারতীয় নৌসেনার আধিকারিক অ্যাডমিরাল রাজেশ ধনখড়ের নেতৃত্বেই এই তিনটি যুদ্ধজাহাজ এই মহড়ায় অংশ নেয়।
ক্ষেপণাস্ত্রবাহী এবং শক্তিশালী এই তিনটি যুদ্ধ জাহাজের নাম হল যথাক্রমে আইএনএস দিল্লি, কর্ভেট শ্রেণির দ্রুতগামী যুদ্ধজাহাজ কিল্টন এবং আইএনএস শক্তি। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চিন সাগরের অন্তর্গত বেশিরভাগ অংশকেই নিজেদের জায়গা বলে দাবি করে চিন। এই ঘটনা নিয়ে বহুদিন ধরেই তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, ফিলিপিন্স এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে চিনের বিরোধ তৈরি হয়েছে।
সমস্যা তীব্র হয় দক্ষিণ চিন সাগরের একটি দীপকে কেন্দ্র করে, যেটির নাম থমাস শোলে। ১৯৯৯ সালে ওই দ্বীপে নৌঘাঁটি ছিল ফিলিপিন্স নৌবাহিনীর। কিন্তু ২০১২ সালে স্কারবোরো শোলে দ্বীপের দখল নেয় চিন। কার্যত ফিলিপিন্সের কাছ থেকে সেটি কেড়ে নেয় তারা। আর সেই থেকেই বিরোধের সূত্রপাত।
উল্লেখ্য, বিশ্বের মোট বাণিজ্য সামগ্রীর একটা বড় অংশই আমদানি এবং রপ্তানি করা হয় জলপথে। স্বভাবতই, এই কারণে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে বারংবার সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে চিন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।