যুদ্ধ বিরতির চতুর্থ দিনে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে হামাসরা। কিন্তু পাল্টা ইজরায়েল এখনও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ হামাসের পক্ষ থেকে।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন জানিয়েছেন, হামাসরা ইতিমধ্যেই ১২ জন থাই নাগরিককে মুক্তি গিয়েছে। দূতাবাসের কর্মকর্তারা পণবন্দি থাই নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। যুদ্ধ বিরতির চতুর্থ দিনে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে হামাসরা। কিন্তু পাল্টা ইজরায়েল এখনও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ হামাসের পক্ষ থেকে। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, নিরাপত্তা বিভাগ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে ১২ জন থাই জিম্মিকে ইতিমধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দূতাবাসের কর্মকর্তারা আরও এক ঘন্টার মধ্যে তাদের তুলে নেওয়ার পথে রয়েছেন। তাদের নাম ও বিস্তারিত তথ্য দ্রুত প্রকাশ করা হবে।
হামাসরা আজ গাজায় একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতর অংশ হিসেবে , প্রাথমিকভাবে ইজরায়েলের কারাগারে থাকা ৩৯ প্যালেস্টাইনী নাগরিকদের মুক্তি দিয়েছে। মিশরের ১৩ জন নাগরিককেও মুক্তি দিয়েছে ইজরায়েল। ১২ জন থাই নাগরিক প্রায় ২ মাস বন্দিদশা কাটিয়েছে।
বন্দি বিনিয়মের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই থাই প্রশাসন গোটা ঘটনা বিশ্বকে জানিয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী পণবন্দিদের রেড ক্রসের হাতে তুলে দেওযা হয়েছে। তারাই রাফাহ সীমান্ত পার করে মিশরের দিকে চলে গেছে। হামাসের একটি ঘনিষ্ট সূত্র বলেছে, ইসরায়েলের পণবন্দিদের ইজরায়েল ফেরার জন্য রেড ক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আধ ঘণ্টার মধ্যেই তারা মিশর সীমান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ইজরায়েল হামাস যুদ্ধের মধ্যস্থতায় কাতার। ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পরে এটাই প্রথম আলোচনা। ইজরায়েল হামাস আলোচনায় প্রধান্য পেয়েছে যুদ্ধ বিরতি আর পণবন্দির বিষয়। কারণ দুই পক্ষের হাতেই একাধিক মানুষ বন্দি অবস্থায় রয়েছে। যুদ্ধ বিরতির শর্ত হল প্যালেস্টানীয় জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের হাতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন ইজরায়েলের মানুষ বন্দি রয়েছে। অন্যদিকে ইজরায়েলের জেলে রয়েছে প্যালেস্টাইনের মহিলা ও শিশুরা। ইজরায়েলের অভিযোগ যুদ্ধ হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত হামাসের হাতে বন্দি রয়েছে ইজরায়েলের প্রায় ২৪০ জন নাগরিক। এদের গাজায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।