Chernobyl: চেরনোবিলের বিষাক্ত রাসায়নিক প্লান্টের পাশে হিংস্র নেকড়ের ঝাঁক! শরীরে পাওয়া গেল ক্যান্সারের প্রতিরোধ-ক্ষমতা

বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রতিক্রিয়ার কারণে এখনও যেখানে মানুষের বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব, সেখানেই বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে গেল নেকড়েদের শরীরে। গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা তৈরি হয়েছে হিংস্র প্রাণীদের দেহে।

Sahely Sen | Published : Feb 10, 2024 10:33 AM IST

২৬শে এপ্রিল, ১৯৮৬, এই তারিখেই তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঘটে গিয়েছিল বিরাট বড় সর্বনাশ। পারমাণবিক রাসায়নিক নিঃসরণ ঘটে অগুন্তি মানুষের প্রাণহানি হয়। গোটা এলাকা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সেই জনহীন মৃত্যুপুরীতে বাসা বাঁধে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী, যাদের মধ্যে ছিল হিংস্র নেকড়েরাও। বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রতিক্রিয়ার কারণে এখনও যেখানে মানুষের বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব, সেখানেই বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে গেল নেকড়েদের শরীরে। গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা তৈরি হয়েছে হিংস্র প্রাণীদের দেহে। 

-

চেরনোবিল এক্সক্লুশন জোন (CEZ) এ ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বিকিরণের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে বসবাস করার ফলে নেকড়েদের শরীরে রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটেছে বলে দেখতে পেয়েছেন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেন ক্যাম্পবেল-স্ট্যাটনের ল্যাবের বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানী এবং ইকোটক্সিকোলজিস্ট কারা লাভ। ২০১৪ সালে, মিসেস লাভ এবং তার দল চেরনোবিল-এ গিয়ে নেকড়েদের গলায় রেডিয়েশন ডসিমিটার দেওয়া GPS রেডিও কলার লাগিয়েছিলেন। ক্যান্সার-সৃষ্টিকারী বিকিরণের সামনে নেকড়েদের শরীরে কী প্রতিক্রিয়া হয়, তা বোঝার জন্য প্রাণীদের শরীর থেকে রক্তও নেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে গবেষণা চালানোর পর প্রকাশ্যে এসেছে অবাক করা তথ্য। 

-

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সোসাইটি অফ ইন্টিগ্রেটিভ অ্যান্ড কম্পারেটিভ বায়োলজির বার্ষিক সভায় কারা লাভ জানিয়েছেন যে, সিইজেড নেকড়েরা প্রতিদিন ১১.২৮ মিলিরেম রেডিয়েশনের সংস্পর্শে আসে, যা মানুষের শরীরের সহ্যসীমার ছয় গুণেরও বেশি। পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের নেকড়েরা যেমন হয়, চেরনোবিলের নেকড়েদের শরীরের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা তার চেয়ে হাজার গুন বেশি । গবেষণা দল দেখেছে যে, এই নেকড়েদের জিনোম ক্যান্সারের জন্য কিছু স্থিতিস্থাপকতা তৈরি হয়েছে। গবেষকরা নেকড়েদের জিনোমের নির্দিষ্ট অঞ্চলগুলি চিহ্নিত করেছেন, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে স্থিতিস্থাপকতা দেখায়।
-

এই অভাবনীয় ঘটনা ঘটার ফলে, গবেষকরা এখন পরীক্ষা করবেন যে, কীভাবে মানুষের শরীরের মধ্যে একই ধরনের জিন মিউটেশন করে ক্যান্সারের প্রকোপ থেকে বাঁচা যায়। 

Share this article
click me!