থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের বিরুদ্ধে নৈতিকতা ভঙ্গের অভিযোগ! দোষী সাব্যস্ত হলে ক্ষমতা হারাতে পারেন তিনি
এবার ক্ষমতা হারাতে পারেন থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। থাইল্যান্ডে সাংবিধানিক আদালত নৈতিকতা বিষয়ক মামলার রায় দিতে যাচ্ছে। এই রায়ে ক্ষমতা হারাতে পারেন থাই প্রধানমন্ত্রী । যদি তাই হয় তবে আদালতের হিসেব মতো এক বছরের মধ্যে ক্ষমতা হারাতে হতে পারে থাই প্রধানমন্ত্রীকে।
এতে থাইল্যান্ডে ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। বুধবার থাইল্যান্ডের সময় অনুযায়ী ৯টা ৩০ মিনিটে আদালত তার কার্যক্রম শুরু করে। বেলা ৩টার দিকে রায় দেয়ার কথা রয়েছে।
কিন্তু কী অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে? থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত পিচিট চুয়েনবানকে মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করেছেন যার দরুণ নৈতিকতার তাঁর বিরুদ্ধে নৈতিকতার আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এর এক সপ্তাহ আগে একই আদালতে থাইল্যান্ডের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল ও তাঁর সাবেক নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাতকে রাজনীতিতে এক দশকের জন্যে নিষিদ্ধ করেছে।
বর্তমান থাই প্রধানমন্ত্রী যে আইনজীবী পিচিট চুয়েনবানকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এ ছাড়া পিচিট ২০০৮ সালে দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধে ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। স্রেথাকে রক্ষায় পিচিট মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগও করেছেন। তা সত্ত্বেও সাংবিধানিক আদালতে মামলাটির শুনানি চলছে।
অন্যদিকে টানা তিন মাস রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর গত বছর মে মাসে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন স্রেথা থাভিসিন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।