করোনার দাপটে নাজেহাল গোটা বিশ্ব। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অনেকেরই। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ফের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে বিশ্বে। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। যদিও করোনাভাইরাস চিনের ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকেই ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ। আর এবার সেই প্রতিষ্ঠানকেই ‘বিজ্ঞানে অবদানের জন্য’ সর্বোচ্চ সম্মানের জন্য মনোনীত করল চিন।
আরও পড়ুন- মার্কিন ডেটাবেস থেকে করোনার তথ্য গায়েব, কোভিড ১৯ এর উৎস লুকাতেই কি চিনের কারসাজি
চিনের এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০২১ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অসাধারণ অবদানের জন্য ইউহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি-কে মনোনীত করেছে চাইনিস অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স। করোনা রোধে বিস্তারিত ও শৃঙ্খলা মেনে গবেষণার জন্যই ওই সংস্থার তরফে এই স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর শি ঝেংলি-কে।
এদিকে এই গবেষণাগার নিয়ে বিতর্কের কোনও শেষ নেই। এই গবেষণাগার থেকেই বিশ্বে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ আমেরিকা-সহ একাধিক দেশের। এমনকী, এই ভাইরাসকে জৈব মারণাস্ত্রের সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে প্রথমবার চিনেই ছড়িয়ে পড়েছিল এই সংক্রমণ। তারপর তা ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বের প্রতিটি দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ওই ল্যাব থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে চিন।
আরও পড়ুন- মর্মান্তিক, শিউরে ওঠার মতো - কোভিডের আতঙ্কে ৫ বছরের মেয়েকে কুপিয়ে খুন করল তার মা
এই গবেষণাগার থেকেই গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে কিনা, তা এখনও তদন্তসাপেক্ষ। যদিও সেখান থেকেই করোনা ছড়িয়েছে বলে অনুমান একাধিক দেশের। এরই মধ্যে ব্রিটেন ও নরওয়ের দুই বিজ্ঞানী সেখান থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পেয়েছেন বলে দাবিও করেছেন। এরপর সেই ল্যাব পরিদর্শনে গিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র প্রতিনিধি দল। যদিও তাঁরাও সেখান থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়া সংক্রান্ত তেমন কোনও প্রমাণ পাননি বলে দাবি করেছিল হু।
আরও পড়ুন- ৫০ হাজারের নিচে নামল দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ, কমেছে মৃতের সংখ্যা
এদিকে করোনা ভাইরাসের উৎস সন্ধানে মরিয়ে প্রয়াস চালাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া সহ বেশ কয়েকটি দেশ। তারই মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, চিন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কয়েটি নমুনার জিনগত মেকআপের বিবরণ আমেরিকান ডেটাবেস থেকে সরিয়ে নিয়েছে। যেখানে চিনা গবেষকদের কাছে সেই তথ্যগুলি জমা দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। প্রাদুর্ভাব আর উৎস সম্পর্কে চিনের এই গোপনীয়তা নিয়ে যথেষ্টই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।