পরবর্তী আইপিএলের জন্য ভারতে বায়ো বাবল প্রস্তুতির ভাবনায় বোর্ড, জেনে নিন সেই ব্যবস্থার খুঁটিনাটি

  • আইপিএল ২০২১ ভারতেই আয়োজনের ভাবনায় বিসিসিআই
  • তার জন্য প্রতিটি ভেন্যুকে আনতে হবে বায়ো বাবলের আওতায়
  • কোহলি, অশ্বিনরা জানিয়েছেন দীর্ঘদিন বায়ো বাবলে থাকার অভিজ্ঞতা
  • অনেক গুলি বিষয় মাথায় রেখে এই সিস্টেম প্রস্তুত করতে হবে বিসিসিআইকে
     

Reetabrata Deb | Published : Nov 14, 2020 5:53 AM IST

করোনার কারনে প্রতিনিয়ত নানান নতুন ব্যবস্থার সাথে প্রতিনিয়ত পরিচয় ঘটছে দুনিয়ার। তারই মধ্যে একটা ব্যবস্থার নাম হলো বায়ো বাবল।  ক্রিকেট-ফুটবল ও অন্যান্য ক্রীড়ার অভিধানে এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শব্দ বায়ো বাবল। 

বিসিসিআই সূত্রে জানা গিয়েছে ২০২০ তে আইপিএল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আয়োজন করা হলেও ২০২১ এ ভারতেই আইপিএল করার পক্ষপাতী বিসিসিআই৷ সেক্ষেত্রে মরুদেশে যেভাবে বায়ো বাবল পরিবেশ তৈরি করে নিপুণভাবে সমস্ত ব্যবস্থা পালন করা হয়েছে, ভারতেও প্রতিটি ফ্রাঞ্চাইজির ভেন্যুতে একইরকম পরিবেশ তৈরি করে আইপিএলের ১৪ তম সংস্করণ আয়োজনের ভাবনা করছেন সৌরভ গাঙ্গুলিরা। 

আদপে কিন্তু বায়ো বাবল ব্যাপারটা প্রস্তুত করা একেবারেই সহজ নয়। খেলোয়াড়রা যেই ভ্যেনুতে খেলবেন সেই স্টেডিয়াম এবং সংলগ্ন হোটেল নিয়ে তৈরি হয় বায়ো বাবল পরিবেশ। সেই নির্দিষ্ট বৃত্তেই খাকতে হবে খেলোয়াড়, ম্যাচ অফিসিয়াল এবং কিছুক্ষেত্রে ধারাভাষ্যকারের দলকে। বাইরে থেকে অত্যন্ত প্রয়োজন না থাকলে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না বায়ো বাবলে। আবার বায়ো বাবলের কেউ নিজের ইচ্ছামতো বেরোতেও পারবেন না৷ হোটেলের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু জায়গা ছাড়া খেলোয়াড়রার যেতে পারবেন না অন্য কোথাও। 


প্রতিদিন সকালের জলখাওয়ারের আগে প্রত্যেকের টেবলে দেওয়া হয় একটি করে স্বাস্থ্য সূচি। সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষার উঠে আসা প্রতিটি খেলোয়াড়ের বিভিন্ন শারীরিক দুর্বলতার উল্লেখ করা থাকে। খেলোয়াড়রা যদি মনে করেন, তাঁর জ্বর-জ্বর লাগছে অথবা মাথা যন্ত্রণা করছে, সে ক্ষেত্রে সেই স্বাস্থ্য সূচিতে তা উল্লেখ করতে হয়। তারপর থার্মাল চেক-আপ মেশিন।ল প্রত্যেককে নিজেদের তাপমাত্রা মেপে লিখে দিতে হবে।

এছাড়াও প্রতিটি ক্ষেত্রেও অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডে লাগানো থাকে ‘মাইক্রো চিপ’। তাতে জিপিএস বসানো থাকে। খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে ট্রেনিং ও ম্যাচ চলাকালীন সেই কার্ড খুলে রাখা যাবে। ধারাভাষ্যকার ও অফিসিয়ালদের ক্ষেত্রে রুমের বাইরে পা দিলেই গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে কার্ড। যদি কোনও খেলোয়াড়ের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে তাহলে তার জিপিএস ট্র্যাক করে পর্যবেক্ষণ করা হয় যে তার সংস্পর্শে কারা এসেছিল। সেই অনুযায়ী তাদেরও পরীক্ষা করা হবে।

স্টেডিয়াম ও হোটেলের লিফট ব্যবহার করার সময় কনুই দিয়ে বোতাম টিপতে হয়। আঙুল ব্যবহার করলে সেন্সরই কাজ না করার ব্যবস্থা রাখা হয়। এমনকি লিফটের  ভিতরে দু’জনে যদি একে অন্যের মুখোমুখি দাঁড়ায়, সে ক্ষেত্রেও অ্যালার্ম বেজে ওঠার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এছাড়া রুমে চাবি ও হ্যান্ডেল কোনও কিছুই থাকে না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে৷ হোটেলের নিজস্ব অ্যাপ থাকতে পারে। তার মাধ্যমেই দরজা খোলা ও বন্ধ করা যায়। মাস্ক না পরে রুমের বাইরে পর্যন্ত যাওয়া নিষেধ থাকে। ফুটবলারদের ক্রীড়াসুচি অনুযায়ী তাদেরকে টানা ট্র্যাভেল করতে হয়, ফলে তাদের খুব একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু আইপিএলের ক্ষেত্রে বিরাট, অশ্বিনরা জানিয়েছেন যে যেহেতু দীর্ঘদিন তাদের একই জায়গায় থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হয়, তাই এসব নিয়ম টানা পালন করতে গিয়ে কখনও কখনও হাঁপিয়ে ওঠেন তারা।

Share this article
click me!