বিপিএল তালিকাভুক্তদের বিনা পয়সায় রেশন থেকে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু যাঁরা এপিএল কার্ড করিয়েছেন, তাঁদের কী হবে! লকডাউনের বাজারে খাদ্যসামগ্রী না পেয়ে রেশন ডিলারকে দোকানে তালাবন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রাহকরা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে।
আরও পড়ুন: ২২ হাজার টাকায় বন্ধক রেশন কার্ড, লকডাউনে তাই রেশনহীন পুরুলিয়ার কালিন্দীদের গ্রাম
রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। কিন্তু লকডাউনের সময়ে গ্রাহকরা যাবেনই বা কোথায়! সস্তায় খাদ্যসামগ্রী ও অন্যন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে এখন রেশন দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। তাতেই কি বিপদ বাড়ছে ডিলারদের? জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর দুই নম্বর ব্লকের ঝড়াংরী গ্রামে রেশন দোকান চালান মায়ারানী মুদলি। বুধবার সকালে যখন মায়ারানীর জামাই-সহ আরও তিন খাদ্যসামগ্রী বিলি করছিলেন, তখন দোকানের শার্টার নামিয়ে দেন গ্রাহকরা। তালাবন্ধ করে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীরা সকলেই এপিএল কার্ড হোল্ডার। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই রেশন থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছেন না। এমনকী, জিনিস কেনার পর মেমোও দিচ্ছেন না রেশন ডিলার। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দোকানের শার্টার খুলে উদ্ধার করা হয় অভিযুক্ত রেশন ডিলার ও তাঁর কর্মচারীদের।
আরও পড়ুন: নয়া গ্রাহকদের তালিকা তৈরি, রেশন ব্যবস্থাকে সচল করতে অভিনব পদক্ষেপ জেলা প্রশাসনের
এদিকে গ্রাহকদের সঠিক পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী না দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেশন ডিলার মায়ারানী মুদলি। তাঁর সাফাই, 'যাঁরা নতুন কার্ড করিয়েছেন, তাঁদের জন্য বরাদ্দ সামগ্রী আমাদের কাছে নেই। যতটুকু খাদ্যসামগ্রী এসেছেন, মাস্টার রোল তৈরি করে তা বিলি করা হচ্ছে। গ্রাহকদের সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ওঁনারা সেকথা না শুনেই দোকানের শার্টার নামিয়ে দিলেন।' এর আগে ঝাড়গ্রামের জামবনির দুবড়া গ্রামেও রেশনে কম খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। শুধু তাই নয়, দোকানে নিয়ে যাওয়ার পথে গাড়ির চালকই চাল খোলা বাজারে বিক্রি করে দেন বলেও দাবি করেছিলেন গ্রাহকরা।