বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জানিয়েছে আবার টেটের ফর্ম ফিলাপ শুরু হয়েছে। কিন্তু পূর্বের বিজ্ঞাপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ সম্পূর্ণ করা হচ্ছে না। এমনকি ২০১৪ সালের টেটে ৬টি প্রশ্ন ভুল প্রমাণিত হয়েছে, দু'বার ইন্টারভিউ হয়েছে, কিন্তু মেধা তালিকা প্রকাশ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী ২০২০ সালে সাড়ে ১৬ হাজার নিয়োগের ঘোষণা করেছিলেন।
বুধবার বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির কাছে দুর্নীতিমুক্ত ভাবে সমস্ত শূণ্য পদে শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য কয়েকটি দাবি করা হয়। দাবিতে বলা হয়, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি অজানা নয়। এই নিয়ে একটানা প্রতিবাদও চলছে। পূর্বতন শিক্ষামন্ত্রী, পর্ষদ সভাপতি থেকে জড়িত সরকারি আধিকারিকরা জেল হেফাজতে রয়েছেন। অন্যদিকে বঞ্চিতরা নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। গান্ধী মূর্তি এবং মাতঙ্গিনী মূর্তি পাদদেশের আন্দোলন প্রায় ছয়শো দিন হতে চললো। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নেতাদের আশ্বাস ছাড়া আর কোন কিনারা হয়নি।
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জানিয়েছে আবার টেটের ফর্ম ফিলাপ শুরু হয়েছে। কিন্তু পূর্বের বিজ্ঞাপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ সম্পূর্ণ করা হচ্ছে না। এমনকি ২০১৪ সালের টেটে ৬টি প্রশ্ন ভুল প্রমাণিত হয়েছে, দু'বার ইন্টারভিউ হয়েছে, কিন্তু মেধা তালিকা প্রকাশ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী ২০২০ সালে সাড়ে ১৬ হাজার নিয়োগের ঘোষণা করেছিলেন। তখন প্রায় ৩১হাজার চাকরি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ধাপে ধাপে নিয়োগের নিদান দিয়েছিলেন। কিন্তু তা নিষ্পত্তি না করেই পুনরায় নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে। বিপত্তি সেখানেই। ২০১৪ ও ২০১৭ টেট উত্তীর্ণদের একত্রে ইন্টারভিউ দিতে হবে। স্বাভাবিক ভাবে পুরোনরা বঞ্চিত হবে। এই আশঙ্কা থেকেই বঞ্চিতরা করুনাময়ীতে আন্দোলন শুরু করেছেন। সমিতির পক্ষ থেকে এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানানো হয়।
এক প্রেস বিবৃতিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা অভিযোগ করে বলেন সমস্যা সমাধানে সরকারের নিয়োগের কোনো সদিচ্ছা নেই। মেধা তালিকা প্রকাশ না করে কার্যত আদালতে যেতে বাধ্য করা হয়। আর তখন কোর্টের অজুহাত দেখানো হয়। তাঁর আরও অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রী গত বিধানসভার অধিবেশনে প্রাথমিকে ১ লক্ষ ৯০ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও টেট উত্তীর্ণদের সকলকে নিয়োগের জন্য তালিকা প্রকাশ করা হয় নি। অথচ ২০১৪ সালের টেটে উত্তীর্ণদের ২বার ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে কিন্তু তাঁরাই পাশ না করতে পারবার জন্যই নাকি নিয়োগ দেওয়া যায়নি বলে পর্ষদ সভাপতি বলছেন - যা নিতান্তই অমূলক।
তাঁর আরও অভিযোগ ২০১৪-র থেকে চাকরি পাননি প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার এবং ২০১৭ তে পাশ করেছিলেন মাত্র প্রায় সাড়ে ৮ হাজার। এর সঙ্গে ২০১২। সবে মিলিয়ে সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি হবে না। আর তাতো শূণ্যপদের তুলনায় যৎসামান্যই। তবে একসাথে নিয়োগ হবে না কেন? তিনি অবিলম্বে ২০১৪ এবং ২০১৭ টেট উত্তীর্ণদের সকলকে একত্রে নিয়োগের জন্য মেধা তালিকা প্রকাশের দাবি জানান। পাশাপাশি তিনি এই আন্দোলনের সমর্থনে সমিতির পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সভার কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন।