জমির কাগজ এল রাজ্য সরকারের উদ্য়োগে, স্বস্তিতে টালিগঞ্জের ৪৪ পরিবার

  • রাজ্য সরকারের উদ্য়োগে, জমির কাগজ পেয়ে স্বস্তি পেল টালিগঞ্জবাসী 
  • বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই নিঃশর্ত দলিল তুলে দেওয়া হয়
  • মোট ৪৪টি পরিবার তাদের জমির দলিল পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুব খুশি 
  • সংশোধিত নাগরিক আইন নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটিয়ে অবশেষে সরকারি স্বীকৃতি 


 

Ritam Talukder | Published : Feb 7, 2020 7:58 AM IST

রাজ্য সরকারের উদ্য়োগে, জমির কাগজ পেয়ে স্বস্তি পেল টালিগঞ্জবাসী। বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই নিঃশর্ত দলিল তুলে দেওয়া হয় টালিগঞ্জের ৪৪টি পরিবারের হাতে। টালিগঞ্জের তিলকনগর, শান্তিনগর, রিজেন্ট কলোনি, লক্ষ্মীনারায়ণ কলোনি, অশ্বিনীনগর, রামগড়, রাজেন্দ্রপ্রসাদ কলোনি-সহ আরও বেশ কিছু কলোনির ওই ৪৪টি পরিবার তাদের জমির দলিল পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুব খুশি।

আরও পড়ুন, প্রতিবাদের মূলই অস্ত্রই কাগজ-কলম-বই, কলকাতা বইমেলাতে সিএএ নিয়ে সরব স্বরা

সূত্রের খবর,  হায়দরাবাদে মেয়ের বাড়ি থেকে ছুটে এলেন টালিগঞ্জের রিজেন্ট কলোনির বাসিন্দা শৈলেশরঞ্জন ভাদুড়ি। মেয়ের কাছে দিন পনেরো থাকার ইচ্ছে ছিল তাঁর। কিন্তু প্রায় বছর পঁয়তাল্লিশের সমস্যার সমাধান হওয়ার খবর পেয়ে চার দিনের মাথাতেই কলকাতায় ছুটে এসেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজয়গড় নিরঞ্জন সদনের সামনে দাঁড়িয়ে স্বস্তির শ্বাস ফেলে শৈলেশ বলছিলেন, 'এই দিনটার জন্য কত দিন অপেক্ষা করছিলাম। অনেক দেরি হলেও অবশেষে জমির দলিলটা তো পেলাম। এর চেয়ে খুশির কিছু হতে পারে না।'

আরও পড়ুন, খুন নাকি দুর্ঘটনা, দ্বন্দ্ব কাটাবে রহস্য়ময় ৪ সেকেন্ড

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরে অজস্র ছিন্নমূলের মতোই এই দেশে চলে আসতে হয়েছিল এই ভাদুড়ি পরিবারকে। সেই থেকেই শুরু হয়েছিল জমির দলিলের জন্য তাঁর লড়াই। সংশোধিত নাগরিক আইন নিয়ে দুশ্চিন্তা যখন ফের বাঙালি উদ্বাস্তু পরিবারগুলিকে গ্রাস করেছে, ঠিক সেই সময়েই জমির দলিল  হাতে নিয়ে স্বস্তি পেল ভাদুড়িদের মতোই টালিগঞ্জের ৪৪টি পরিবার।  বহু বার এই জমির দলিলের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন বিজয়গড়ের বাসিন্দা বিজয়কুমার সরকার। রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের থেকে হাতে দলিল পেয়ে জানালেন, '৪৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়েছি এই কাগজটার জন্য। অবশেষে বসতভিটের একটা স্বীকৃতি পেলাম।' অনিশ্চয়তা কাটিয়ে তাই খুশি আর স্বস্তির সঙ্গে রাজ্য সরকারকেও ধন্যবাদ দিলেন বলরাম নাথ, কমলেশ চৌধুরী, সুকান্ত ভৌমিকরা।

Share this article
click me!