শনিবার সন্ধ্যায় নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মৌসম ভবন থেকে পাওয়া সতর্কতা অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে সব সরকারি কর্মচারীর ছুটি ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাতিল করা হল।
বাংলার (West Bengal) আকাশে দুর্যোগের শেষ নেই। একটা দুর্যোগ কাটতে না কাটতেই ফের একটা নতুন দুর্যোগ সামনে চলে আসছে। আগামী সপ্তাহের শুরু থেকেই রাজ্যে ফের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) 'গুলাব'। তার জেরে ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain) হবে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) বিভিন্ন জেলায়। এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে শনিবার জরুরি বৈঠকে (Emergency Meeting) বসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আর এর জেরেই সব সরকারি কর্মী ও আধিকারিকদের ছুটি বাতিল (Leave Cancel) করল নবান্ন (Nabanna)। ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মৌসম ভবন থেকে পাওয়া সতর্কতা অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে সব সরকারি কর্মচারীর ছুটি ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাতিল করা হল। ওই বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের তা পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- 'কেউ যদি বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়, আমি ছাড়ব না', CESC ও KMC-কে সতর্কবার্তা ফিরহাদের
গভীর নিম্নচাপ (Depression) আজ সন্ধের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে জানানো হয়েছে। আর এর জেরেই রবিবার থেকে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে (Coastal District) বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। গুলাবের গতিপথ অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা হলেও ভাসবে বাংলা। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টির ফলে বাড়বে নদীর জলস্তর (River Level)। আর এর জেরে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকাগুলি ফের প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গ্রামের পাশাপাশি শহরেও জমতে পারে জল। আর তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারী কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব', প্রবল বর্ষণ দক্ষিণবঙ্গে, রেড অ্যালার্ট নবান্নের
এদিকে আবহাওয়া দফতর ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করার পরই তৎপর লালবাজার (Lalbazar)। কারণ গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির জেরে কলকাতার নানা প্রান্ত জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। এবার দুর্যোগের আশঙ্কা আরও প্রবল হওয়ায় আগে থেকেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তারা। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এই দলে থাকছেন কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation), পূর্ত দফতর, দমকল ও সিইএসসি-র প্রতিনিধিরা। এছাড়া লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে (Control Room) খোলা হয়েছে ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার।
আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি রাজ্যে, মোকাবিলা করতে আগে থেকেই তৎপর লালবাজার
দুর্যোগের পূর্বাভাস পেয়ে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কলকাতা পুরসভাও। শনিবার পুরসভার প্রস্তুতি নিয়ে পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, দুর্যোগের কথা মাথায় রেখেই সব কন্ট্রোল রুম খুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পর যাতে জমা জল নামাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা যায়, সে কারণে ৩৫০টি প্রোটেবল পাম্পের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ।