বড়বাজার নন্দরাম মার্কেটের শিশু খুনের ঘটনার তদন্ত চলছে জোরকদমে। তদন্তের স্বার্থে ওই ৬তলার বারান্দা থেকে একটি বালিভরা পুতুল বানিয়ে নিচে ফেললেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। ভয়াবহ ওই শিশু খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করল মৃতের পরিবার।
আরও পড়ুন, প্রিয় অভিনেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ, অর্ধেক দামে ট্রিপল লেয়ার মাস্ক বিকোচ্ছেন ভক্ত
পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিবকুমার যে প্রকৃতই খুন করেছেন, সেটা প্রমাণ করতেই ৬তলার বারান্দা থেকে একটি বালিভরা পুতুল বানিয়ে নিচে ফেললেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।। সেই কারণে বড়বাজার থেকে কেনা হয় দুটি বড় সফট টয়। শিশু দুটির ওজন অনুযায়ী ভিতরে বালি পুরে দেওয়া হয়। এবার পুতুল দুটিকে নিয়ে ৬তলার বারান্দায় ওঠেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ৬ তলার উপর থেকে পড়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। শরীরের বেশ কয়েকটি হাড় ভেঙেছে ও অভ্যন্তরীণ জখমও রয়েছে। পুলিশ আধিকারিকদের মতে, শিশু দুটি যে খেলতে খেলতে পড়ে যায়নি, তাদের উপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এটিই বড় প্রমাণ। পুলিশের দাবি, শিবকুমার বুঝেশুনে এমনভাবে দুই শিশুকে তুলে নিচে ফেলেছিল, যাতে তারা নিচে পড়ে।
আরও পড়ুন, করোনা আক্রান্তদের বিমান-সফর, কোয়ারেন্টিনে ২ পাইলট সহ ৪ সেবিকা
প্রসঙ্গত, ১৪ জুন রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বড়বাজার থানা এলাকার ১১৩ নেতাজি সুভাষ বসু রোডে ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, বড়বাজারে পুরনো একটি বাড়ির ছয় তলায় শিবকুমার গুপ্তা ও বুধন সাহু পাশাপাশি দুটি ঘরে থাকত। বুধনের পাঁচ বছর বয়সি ছোট ছেলে শিবম, পাঁচ বছর বয়সি নাতি বিশাল, আরেক আত্মীয়র সন্তান প্রতিদিনের মতো বারান্দায় বসে খেলা করছিল। খেলা করতে করতে চিৎকার করছিল তারা। এরপরেই মাথার ঠিক রাখতে পারেনি শিবকুমার। কিছু বুঝে ওঠার আগে আচমকাই তিন শিশুকে পাঁচতলা বারান্দা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। দেখতে পেয়ে এক মা কোনও রকমে মেয়েটিকে ধরে ফেলেন। কিন্তু অন্য দুটি বাচ্চাকে সত্যিই ছুড়ে ফেলা হয় নীচে। দুই বছরের শিশু শিবম সাউ মারা গিয়েছে। ছয় বছরের বিশাল সাউ আহত হয়ে নীলরতন সরকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন, স্কুল ফি নিয়ে ফের বিক্ষোভ, হাইকোর্টের হুঁশিয়ারি দিলেন তারাতলার বিড়লা ভারতীর অভিভাবকরা
অপরদিকে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে বাড়ির বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন অভিযুক্ত শিবকুমার গুপ্তার স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে নিত্য অশান্তি ঝামেলা লেগে থাকত অভিযুক্তের। স্ত্রীর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনও চালান অভিযুক্ত। আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের স্ত্রী প্রথমে বেশ কিছুদিন নিখোঁজ ছিলেন। তারপর অন্যত্র তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। আর এখানেই তৈরি হয়েছে সন্দেহের বীজ। অভিযুক্তের স্ত্রী কি সত্যিই আত্মহত্যা করেছিলেন, তাঁকেও খুন করেছিল অভিযুক্ত, এ প্রশ্ন উঠেছে। তবে এই ঘটনা আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, করোনা আক্রান্ত বেলুড়ের এক মহারাজ, মঠ খোলার দিন আপাতত অনিশ্চিত
করোনা আক্রান্ত হয়ে ফের মৃত্যু এক কলকাতা পুলিশকর্মীর, উদ্বিগ্ন লালবাজার
করোনায় সুরক্ষাবিধি নিয়ে বিক্ষোভের জের, বদলি ১৩ পুলিশকর্মীর
করোনা আক্রান্ত নিজাম প্যালেসের এক সিবিআই আধিকারিক, স্যানিটাইজ করা হল পুরো অফিস
করোনা আবহে সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের প্রাক্তন স্ত্রী-শাশুড়ির দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ
পিটিএসে নতুন করে আক্রান্ত আরও ৮, করোনা মুক্ত হয়ে কাজে ফিরলেন ১০০ পুলিশ কর্মী
দেহ রাখার জায়গা না থাকায় ডিপ ফ্রিজ বসছে মেডিকেলের মর্গে, মৃতদেহ 'ম্যানেজমেন্ট'-এ নিয়োগ অ্যাসি