কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র আগমন ঘিরে বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। শেষপর্যন্ত রাজ্যপাল গিয়ে উদ্ধার করেন বাবুলকে। রজানীতির আঙ্গিনায় এই ঘটনা নিয়ে ফের শুরু হয়েছে কেন্দ্র রাজ্য টানাপোড়েন। এই পরিস্থিতিতে যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন অপর্ণা সেন, অনুপম রায় , কৌশিক সেন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মত বিশিষ্টজনেরা।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আগমনের সময় গণতান্ত্রিক উপায়ে সংঘটিত প্রতিবাদ কীভাবে হিংসার রূপান্তরিত হল তা নিয়ে তাঁরা যে স্তম্ভিত, শুক্রবার খোলা চিঠিতে সেকথা উল্লেখ করেছেন অপর্ণারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়র আচরণেরও উল্লেখ রয়েছে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে । ছাত্রদের প্রতি মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পড়ুয়াদের প্রতি দাগি আসামির মত আচরণ সুস্থ সমাজের কাম্য নয়, স্পষ্ট জানিয়েছেন বিশিষ্টরা।
ছাত্রদেরও বার্তা দিয়েছেন রূপম, ঋদ্ধিরা। হিংসার বদলে গণতান্ত্রিক উপায়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি যাদবপুরের শান্তি যেন কোনওভাবেই বিঘ্নিত না হয়, তারও আবেদন করেছেন বুদ্ধিজীবিরা। রাজ্য প্রশাসনের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করা হয়েছে।
সিটিজেনস্পিক ইন্ডিয়ার তরফে প্রকাশিত এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নাম রয়েছে অপর্ণা সেন, অনুপম রায়, বোলন গঙ্গোপাধ্যায়, চিত্রা সরকার, কৌশিক সেন, মুদার পাথেরিয়া, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পিয়া চক্রবর্তী, ঋদ্ধি সেন, রূপম ইসলাম, রূপসা দাশগুপ্ত, শক্তি রায়চৌধুরী, সোহাগ সেন, শুচিস্মিতা দাশগুপ্ত ও সুদেষ্ণা রায়ের।
এর আগে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দলনের সময় এনআরএস হাসপাতালে হাজির হয়েছিলন অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনরা। নির্বাচন পরবর্তী উত্তপ্ত ভাটপাড়াতেও গিয়েছিলেন বিশিষ্টজনরা। দেশের মানুষের নিরপাত্তা নিয়েও মোদীকে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন অপর্ণারা। এবার যাদবপুরের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেরুয়া তাণ্ডব নিয়ে সরব হলেন বিশিষ্টরা।