শহরের ফুটপাতেও এবার নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন শহরের দুই প্রান্তের দুই ফুটপাথবাসী। আর তাতেই ঘুম ছুটেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনের। একজনকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এবং অপরজনকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারকারীদেরকেও ইতিমধ্যেই হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
শহরে দেদার শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ, মোট ৯৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ
শহরের দুই প্রান্ত মধ্য কলকাতার বউবাজার ও বন্দর এলাকায় মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা ওই দুই জনই ভিক্ষাজীবী। জানা গিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল বউবাজারের পুলিশকর্মীরা জ্বর ও শ্বাসকষ্ট সহ এক ভিক্ষাজীবীকে উদ্ধার করেন। জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। এনআরএস হাসপাতালে ভরতি করার পর তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সোমবার রাতে রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর মঙ্গলবার তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি গার্ডেনরিচের টুকরাপট্টির ফুটপাথ থেকে আরও একজনকে নাদিয়ালের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁরও সোয়াব পরীক্ষায় পাঠানোর পর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যাঁরা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান, তাঁদের মধ্যে অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও পুলিশকর্মী-সহ কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
বাড়িতে আলো জ্বালাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, মোমবাতি হাতে রাস্তায় অতি উৎসাহীরা
অপরদিকে, শহরের দুই প্রান্তের ২ ফুটপাথবাসীর শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মিলতেই উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য ভবন। কারণ শহর কলকাতায় লক্ষাধিক মানুষ ফুটপাথে বাস করেন। সেই বিশাল বড় সংখ্যাটার হিসেবে রয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে। আর তাতেই নতুন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে ঘাম ছুটেছে স্বাস্থ্য ভবনের। কীভাবে তাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাস এল। কীভাবে তাঁরা আক্রান্ত হলেন, যদিও তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে সন্ধান চলছে। তাঁরা কোনওভাবে ভিনরাজ্য বা বিদেশ ফেরত কোনও বাসিন্দার সংস্পর্শে এসেছিলেন কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেই তথ্য।
রাজ্য়ে করোনায় আক্রান্ত এবার এক নার্স, পরিবারকে কোয়ারেনটাইনে থাকার নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের
করোনা আক্রান্তদের এমআর বাঙ্গুরে স্থানান্তর ঘিরে তুলকালাম, অভিযোগ নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে নার্সরা
পাঁচিল টপকালেই ভাইরাস এক্সপার্ট সেন্টার, তবুও মুখ ফিরিয়ে মেডিক্য়াল কলেজ