বাঙালি হিন্দু সমাজে এটি অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। আশ্বিন বা চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে দুর্গাপূজা করা হয়। সারা বছর ধরে অধীর আগ্রহে মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন দুর্গা পুজোর জন্য। মহালয়ার ভোররাতে রেডিও খুলে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় স্তোত্রপাঠ শোনার পরেই মনে হয়, ঢাকের বোলে মেতে উঠেছে প্রকৃতি। সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে, মা আসেন মর্তে। সারা বছর পরিবার ছেড়ে বিদেশে থাকা মানুষটিও, এই বিশেষ সময়ে পরিবারের সঙ্গে কাটানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। 'মা' আসছে বলে কথা, এই সময়টাই তো পরিবারের সঙ্গে আনন্দে মেতে থাকারই বিশেষ উৎসব। আর এরই মধ্যে নিজেদের নতুন নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে প্যান্ডেলের কাজ শুরু করেছে দুর্গা পুজো কমিটি এবং ক্লাবগুলি। নতুন নতুন থিমের পুজো ও সাবেকিআনায় মেতে ওঠে বাংলা।
দেখে নিন- নাম লেখাননি এখনও, দেরি না করে অংশ নিন এশিয়ানেট নিউজ শারদ সম্মান ২০১৯-এ
আরও পড়ুন- বাংলা শেখার শুরু 'বর্ণপরিচয়' দিয়েই, সেটাই এবার থিম হরিঘোষ স্ট্রিটের
প্রতিবারের মতো বেলেঘাটা নবমিলনও শুরু করে দিয়ে পুজোর প্রস্তুতি। এ বছরে তাদের থিম- 'মায়ের খোলা মন'। বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এমন একটি থিমের কথা ভেবেছেন এই ক্লাব। শিল্পী সুদীপ মন্ডল এর কথায়-" মা যখন বৃদ্ধ হয়ে যায়, ছেলে মেয়েরা নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তারা, মা কে দেখা শোনা বা সেবা কোনোটাই করতে পারেন না। সময়ের সঙ্গ সঙ্গে মানসিক দিক থেকে অসুস্থ হয়ে ওঠা কিছু সন্তান যাতে মায়ের একাকীত্ব বোধকে বুঝতে পারে, সেই চেষ্টারই এক ঝলক দেখা যাবে এই মণ্ডপে।
আরও পড়ুন- দেবী এখানে কেশবর্ণা, এমনই চিরাচরিত রীতি বহন করে চলেছে বেলেঘাটার ভট্টাচার্য পরিবার
এবারে নবমিলন ক্লাব এর পুজোর বাজেট ১২ লাখ। অসাধারণ মণ্ডপটির নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে-বাঁশ, কাঠ,শোলা। মন্ডপের মূল আকর্ষণ এ থাকছে এক আয়না যা দর্শকদের সামনে বর্তমান পরিস্থিতিটা তুলে ধরবে। প্রতিবারের মতো এবারও উদ্যোক্তারা এবং শিল্পী সুদীপ মন্ডল মণ্ডপ নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। শিল্পী সুদীপ মন্ডল এর মতে এরকম থিমের সাবজেক্ট কলকাতা তে সেই ভাবে দেখা যায়নি এর আগে। তাই অনবদ্য এই থিম স্বচক্ষে দেখতে অবশ্যই চলে আসুন বেলেঘাটা নবমিলন ক্লাব এ।