সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন শিক্ষকদের বিক্ষোভ কখনই কাম্য নয়।
'তৃণমূল কংগ্রেস যথার্থই দাবি করে তাদের মত সরকার সারা পৃতিবীতে নেই। তবে পৃথিবীতে আছে কিনা তা আমার জানা নেই। কিন্তু সারা ভারতে তৃণমূল কংগ্রেসের মত সরকার নেই তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। কারণ স্বাধীন ভারতবর্ষের ইতিহাসে আন্দোলনরত শিক্ষক শিক্ষিকা পুলিশের উপস্থিতিতে বিষ পান করেতে যাচ্ছেন।' রীতিমত কড়া সুরেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি। দলের নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথায় এই থেকে প্রমান হয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে রাজ্যের মানুষের হতাশা আত্মগ্লানি আর ক্ষোভ কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। এদিন বিকাশ ভবনের সামনে বদলির প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছিলেন পাঁচ শিক্ষিকা। তাঁরা পুলিসের সামনেই বিষপান করে আত্মহত্যার পথ চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নেয় বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তৃণমূলের আমলে প্রায়ই পথে নামতে হচ্ছে রাজ্যের শিক্ষিকদের। যা কখনই কাম্য নয় বলেও দাবি করা হয়েছে।
সরকারি নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারকে বারবার কোর্টে যেতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি আরও বলেন রাজ্যের অবস্থার দিক থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার কখন পেগাসাস কখন ত্রিপুরা নিয়ে আন্দোলনে নামছে। তারপরই নাম না করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বার্ত্য বসুকে নিশানা করেন তিনি। শমীক বলেন রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর একজন অত্যন্ত অবেগপ্রবণ নাট্যকার। তাঁর এই বিষয় নজর দেওয়া জরুতি। অন্যসব কাজ ছেড়ে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য সর্বক্ষণ কাজ করাও জরুরি বলে মনে করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন নবান্না আন্দোলনে পরই বেশ কয়েকজনকে উত্তরবঙ্গে বদলি করা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।
বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের স্কুল খোলারও দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে রাজ্য সরকার করোনার জন্য এখনও স্কুল খুলতে পারেনি। কিন্তু স্কুলগুলিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেখানে কোনও কোভিড বিধি মানা হচ্ছে না। এতটাই ভিড় হচ্ছে যে পুলিশও মাঝে মাঝে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তিনি আরও বলেন এজাতীয় প্রকল্প চালু করে পশ্চিমবঙ্গকে একটি অনুদান নির্ভর একটি জাতিতে পরিণত করা হচ্ছে। এই রাজ্যে কোনও নতুন বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়নি। রাজ্যের শিল্পায়ন বা কর্মসংস্থান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তেমন কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা। রাজ্যের আর্থসামাজিক অবস্থা নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিজেপি নেতা।
COVID 19: শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ শুভেন্দু অধিকারীর, করোনার তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ে পরপর টুউট বিজেপি নেতার
উত্তরবঙ্গে পৃথক রাজ্য গঠন ইস্যুতেই এদিন মুখ খোলেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, একটি নতুন রাজ্যের দাবি করাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী, সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়া যায় না। এটা উত্তরবঙ্গের মানুষের আবেগ। আগের সরকারগুলি সেখানের মানুষের আবেগ, ক্ষোভ কোনও কিছুকেই গুরুত্ব দেয়নি বলেও অভিযোগ করেননি। এই দাবি স্থানীয়দের মধ্যে বিস্তার লাভ করছে। তবে বিজেপি সুসম বন্টনের শাসনভার চালাতে প্রস্তুত। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ বিভাজনের পক্ষে নয়। এটিকে রাজনৈতিক রঙে না রাঙানোই ভালো বলে মন্তব্য করেননি।
"রং দেখে ত্রাণ বিলি, তালিবানি মানসিকতা রাজ্য সরকারের", আক্রমণ অগ্নিমিত্রার
বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল অভিযোগ ত্রাণ বিলি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় অনেক জায়গায়ই ত্রাণ বন্টন করা হচ্ছে না। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রায় ৫ হাজার বাসিন্দা জলবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। রাজ্য সরকারের এই খামখেয়ালিপনাকে তিনি তালিবানি সরকারের সঙ্গে তুলনা করেছেন।