রাজ্যে প্রবল বর্ষণে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টিতে নদী জল ঢুকে ভয়াবহ অবস্থা দক্ষিণবঙ্গে। তবে জল জমে একের পর এক দুর্ঘটনা খাস কলকাতাতেও। হয়েছে জমা জলে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়েও মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে শহরে। এহেন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কলকাতার দশাসই অবস্থা। জমা জলের ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যেই নিশানা করেছেন দিলীপ ঘোষ। এবার মুখ খুললেন ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন, কলকাতায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের, 'ইচ্ছাই নেই কাজের', জমা জল নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ
উল্লেখ্য, কলকাতার টাউন হল তিন বছর ধরে পূর্ত দফতরের দ্বারা সারানো হলেও এক বছর যেতে না যেতেই খসে পড়ল ফের চাঙ্গর। এদিকে জমা জলের ইস্যুতে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার ববি হাকিম বলছেন, দিলীপ ঘোষ কি বললেন আমি জানিনা, তবে বেহালার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে কে ই আইপি ও এডিবি এর পক্ষ থেকে ড্রেনেজ সিস্টেম এর কাজ প্রায় সম্পন্ন হওয়ার মুখে। আগামী এক বছরের মধ্যে বেহালার যে সমস্ত অঞ্চলে কে এই আইপি এর কাজ চলছে তা শেষ করে ফেলা হবে বলে ইতিমধ্যেই বেহালাবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার বর্তমান প্রশাসক মন্ডলির চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। যদিও তাতে আমল দিতে রাজি নন ফিরহাদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বেহালার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে জল নিষ্কাশন এর যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তাকে বাস্তবায়িত করতে কিছুটা সময় লাগছে এটা ঠিকই। বেহালার কয়েকটি ওয়ার্ড বাদ দিয়ে যে সমস্ত অঞ্চলে কেই আই পি এর কাজ চলছে তা দ্রুত আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ হয়ে গেলে এই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি ঘটবে সমগ্র অঞ্চলের মানুষ জনের', জানালেন ফিরহাদ।
আরও পড়ুন, প্রবল বর্ষণে চোপড়া ফ্লাইওভারে ফাটল, নদীর জলে তছনছ ঘাটালের সেতু, বন্যা হতে পারে কি
অপরদিকে, ফিরহাদ আরও জানিয়েছেন, পোর্ট ক্যানাল থেকে শুরু করে শহর কলকাতার মধ্যে যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্যানাল গুলি রয়েছে, সেগুলির দ্রুত সংস্কার ও ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করার লক্ষ্যে রাজ্যের সেচ দপ্তর এর সঙ্গে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। যাদবপুর এলাকার ক্যানেলের ওপর মেট্রো রেলের কাজ চলছে। এই ক্যানেল এর মধ্যবর্তী স্থানে মেট্রোরেলের পিলার তৈরির কাজ চলছে তার জন্য ক্যানেলের মাধ্যমে জল দ্রুত বের হওয়ার পথে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে অন্যদিকে মেটিয়াবুরুজ ও খিদিরপুর অঞ্চলের কোন গুলিতে বর্জ্যের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে নাব্যতা কমে গেছে। তাই সংস্কারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হলে, মেটিয়াবুরুজ সহ দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জল জমার সমস্যা চলে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ফিরহাদ।