এবার দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালেয়র মধ্য়ে সেরার তকমা পেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। পিছিয়ে থাকল না যাদবপুর। দেশের মধ্য়ে দ্বিতীয় স্থানেই নামে উঠেছে যাদবপুরের। ফল দেখে নিজেই টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই শিরোপাকে বাংলার জয় হিসাবে বর্ণনা করেছেন তিনি।
রাজ্যের শিক্ষা ব্য়বস্থা ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছে। দেশের নিরিখে পেরে উঠছে না রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। পড়াশোনার বদলে এখন এগুলি রাজনীতির পাঠশালা হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিককালে রাজ্য়ের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিয়ে এমনই অভিযোগ উঠেছে বার বার। কিন্তু কিউএস ইন্ডিয়া তালিকা প্রকাশ হতেই মুখ বন্ধ হল সমালোচকদের। মঙ্গলবার দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকা প্রকাশ করেছে কিউএস ইন্ডিয়া। যেখানে প্রথমেই নাম রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুরের। সরকারি বিশ্ববিদ্য়ালয় পরিচালিত বিশ্ববিদ্য়ালয় রূপেই এই শিরোপা পেয়েছে কলকাতা, যাদবপুর। বিগত দিনের তালিকায় কলকাতার নাম ছিল ১১ নম্বরে। যাদবপুর ঠিক তারপর ১২ নম্বরে। এই তালিকায় সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তকমা পেয়েছে আইআইটি বম্বে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স বেঙ্গালুরুর নাম। টানা দু বছর এক নম্বরে রইল আইআইটি বম্বে।
শিক্ষার মান নির্ধারণের নিরিখে কিউএস তালিকাকে গুরুত্ব দেয় সারা বিশ্ব। নিজেদের তালিকা প্রস্তুত করতে ৮টি নির্ধারিত মাণদণ্ড রয়েছে সংস্থার। যেখানে শিক্ষায় উৎকর্ষ বা অ্য়াকাডেমিক রেপুটেশনের জন্য দেওয়া হয় ৩০ শতাংশ নম্বর। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিযুক্তদের মানের জন্য ২০ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ থাকে। ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত এখানে একটা বিরাট ভূমিকা নেয়। কোন বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ছাত্রদের অনুপাতে কতজন শিক্ষক বরাদ্দ রয়েছে সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখে কিউএস। এর জন্য বরাদ্দ থাকে ২০ শতাংশ নম্বর। স্টাফদের মধ্য়ে কতজন পিএইচডি হোল্ডার তাও নজর দেয় মানদণ্ড নির্ধারকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিযুক্ত পিএইচডি হোল্ডারদের নিরিখে দেওয়া হয় আরও ১০ শতাংশ নম্বর। এছাড়াও বিশ্ববিদ্য়ালয়ে আন্তর্জাতিক ছাত্র ও শিক্ষকের সংখ্যার জন্য ২.৫ শতাংশ করে নম্বর দেয় কিউএস। এই সবের ওপর ভিত্তি করেই বাংলার মুকুটে দু দুটো পালক জুড়েছে এবার। মূলত, ২০২০ সালের বিশ্ববিদ্যালয় তালিকা প্রকাশ করেছে কিউএস। যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
এদিন টুইটে তিনি লিখেছেন, কিউএস ইন্ডিয়া তালিকায় দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য়ে কলকাতা ও যাদবপুর যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। আমি এই খবর ভাগ করে নিতে পেরে খুবই খুশি। সকলকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা রইল। জয় হিন্দ, জয় বাংলা। কদিন আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা নিয়ে সরব হয় নেটিজেনরা। অভিযোগ ওঠে, পড়াশোনা নয় রাজনৈতিক উস্কানির আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে যাদবপুর। যেখানে বাম থেকে নকশালপন্থী ছাত্ররা আখড়া বানিয়ে ফেলেছে। যদিও কিউস তালিকায় দেশের মধ্য়ে দ্বিতীয় হয়ে যাদবপুর দেখিয়ে দিল,বিশ্ববিদ্য়ালয়ের মান ধরে রেখেছে তাঁরা।