শিলদা ইএফআর ক্যাম্পে মাও হামলার বিচার এক বছরের মধ্য়ে শেষ করতে হবে। মঙ্গলবার এমনই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের ডিজি'কে এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করারও নির্দেশ দিয়েছে।
মাও হামলার ইতিহাস বলছে, শিলদা ইএফআর ক্যাম্পের হামলায় ২৪ জন জওয়ানের প্রাণ যায়। মামলা শুরু হতে তিন অভিযুক্ত জামিনের আবেদন জানান হাইকোর্টে। যার জেরে এক অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিনপুরের শিলদা ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালায় মাওবাদীরা। হামলায় প্রাণ হারায় ২৪ জন জওয়ান। এই ঘটনায় মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম সহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। গত বছর এপ্রিলে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পায় প্রাক্তন মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম।
শিলদা কান্ডে অভিযুক্ত ইন্দ্রজিৎ কর্মকার, তারা হেমব্রম এবং সনাতন সোরেন কয়েকদিন আগেই জামিনের আবেদন জানায় হাইকোর্টে৷ যার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ সিআইডি'র কাছে রিপোর্ট চায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ রয়েছে, বিচারপ্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানতে চেয়ে এদিন হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা পড়ে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা হেমব্রম ও সনাতন সোরেনকে সাক্ষীরা চিনতে পেরেছেন। কিন্তু ইন্দ্রজিৎ কর্মকারের বিরুদ্ধে কোনও সাক্ষী পাওয়া যায়নি। তবে এই মামলার শুনানিতে অভিযুক্তদের আইনজীবী কৌশিক গুপ্তের বক্তব্য, "অর্ণব দামের মতোই তিন আবেদনকারীও অভিযুক্ত। অর্ণবের জামিন হলে এদেরও তা পাওয়া উচিত।" তবে ইন্দ্রজিতের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হলেও বাকি দু'জনের খারিজ করে দেয় কোর্ট৷