উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল, হাইকোর্টের রায়ে জোর ধাক্কা রাজ্য সরকারের

  • উচ্চ প্রাথমিকে বড় ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার  
  • নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট 
  • শুক্রবার বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের বেঞ্চ রায় দিয়েছে 
  • পাশ করেও চাকরি পেলেন না যারা, এই রায়ে তাঁরা হতাশ 
     

Asianet News Bangla | Published : Dec 11, 2020 10:54 AM IST / Updated: Dec 11 2020, 06:13 PM IST

আবারও উচ্চ প্রাথমিকে বড় ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।  উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। প্য়ানেল থেকে শুরু করে মেধাতালিকা সবই বাতিল করে দেওয়া হল।  

আরও পড়ুন, ঘুমের ওষুধ আর দেওয়া হয়নি, ডাকলে চোখ খুলতে চেষ্টা করছেন, স্থিতিশীল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য


বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, নিয়োগের জন্য যতগুলি প্রক্রিয়া চলছিল বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামীদিনে কীভাবে এবং কত দিনের মধ্য়ে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া গাইডলাইনে দেখা যাচ্ছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের থেকে ৩১ জুলাই অবধি সকল রকমের প্রক্রিয়া নিয়োগ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের জন্য বিক্ষপ্তি জারি হয়। সে সময় শূণ্য পদ ছিল ১৫ হাজারের মতো। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৫ লক্ষ ৪৩ হাজার। কিন্তু লোকসভা ভোটের জন্য ওই বছর মার্চে পরীক্ষা গ্রহন স্থগিত হয়ে যায়। ২০১৫ এর অগস্টে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেট নেওয়া হয়। এদিকে ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য না ডেকে অপ্রশিক্ষিতদের ডাকা হয়েছে বলে কয়েকশো প্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করেন। এই মামলার শুনানিতে টেট, শিক্ষাগত যোগ্য়তা এবং বিএলএড বা ডিএলএড প্রশিক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট নম্বরের ভিত্তিতে উচ্চ-প্রাথমিক কর্ম-পার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে বলে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

 আরও পড়ুন, '২ পয়সার প্রেস' মন্তব্যে মহুয়াকে আইনি নোর্টিস হাইকোর্টের আইনজীবির, ক্ষমা না চাইলেই মামলা


  অপরদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ে একদিকে খুশি মামলাকারীরা। অপরদিকে মনখারাপের মেঘ, পাশ করেও চাকরি পেলেন না যারা, এই রায়ে তাঁরা খুবই হতাশ। এই মেধাতালিকায় এমন অনেকেই ছিলেন যারা নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের পর কলকাতা হাইকোর্টের  হতাশ বাংলার সফল পরীক্ষার্থীরা। উল্লেখ্য, এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। এদিকে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে।


আরও পড়ুন, 'ফাড্ডা- গাড্ডা যে কেউ বাংলায়'-মমতা, 'মুখের ভাষাই মানসিকতার পরিচয় দেয়' -পাল্টা নাড্ডা

Share this article
click me!