সারদা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চায় সিবিআই। প্রতিদিনই শিরোনাম হয় সারদা মামলার না না অগ্রগতির খবর। সম্প্রতি জানা গিয়েছিল, রাজীব কুমারের দেওয়া তথ্যক হাতিয়ার করে সারদা কাণ্ডের মূল মাথা জানি এবং সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখোমুখি বসতে চায় সিবিআই। দিন দুয়েক আগে শুভাপ্রসন্নকেও ডেকে পাঠান তদন্তকারী অফিসারেরা। তবে সিবিআই-এর অন্দরে এবার যে ঘটনা ঘটল তা কে উলটপুরাণ বলা যায়। সারাদা মামলার মূল তদন্তকারী অফিসার নাগেশ্বর রাও-কে রাতারাতি বদলি করল সিবিআই। ১৯৮৬ ওড়িশা ক্যাডার ব্যাচের এই আইপিএসকে রাতারাতি অসমের দমকল অসামরিক প্রতিরক্ষা ও হোম গার্ড ডিজি পদে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ফের থমকে গেল সিবিআই, ২২ জুলাই পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না রাজীব কুমারকে
সারদাকাণ্ডে শুভাপ্রসন্নকে তলব সিবিআই-এর, কোন কারণে তিনবার জিজ্ঞাসাবাদ শিল্পীকে
কেন এই বদলি
প্রথম থেকেই সারদা মামলায় স্বচ্ছতার দিকে জোর দিয়েছিল সিবিআই। এই কারণে দিলীপ হাজরা ও অর্ণব ঘোষকে জেরা হওয়া নতুন নথি নিয়ে রাজীব কুমার এর কাছে যায় সিবিআই তাকে স্পষ্টতই প্রশ্ন করা হয়, কেন এই তথ্য গোপন করে ছিল রাজীব। সূত্রের খবর, নিজেদের তরফ থেকেও কোনও অস্বচ্ছতা রাখতে চায় না সিবিআই। নাগেশ্বরকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা রকম প্রশ্ন চলছিল নানা মহলে রাজীব কুমার অভিযোগ জানান, কলকাতা পুলিশের একটি অর্থ কেলেঙ্কারির মামলায় নাগেশ্বর এর স্ত্রী ও মেয়ের নাম উঠেছে। তাই বদলা নিতেই নাগেশ্বর রাও রাজীব এর উপর চড়াও হয়েছেন এমনকী তাঁর বাড়ি তল্লাশির ঘটনাটিও যে এই কারণেই সেই অভিযোগও করেছিলেন রাজীব কুমার। সম্ভবত নানা মহলে চলা এই ধরনের গুঞ্জনকে মান্যতা দিয়ে নাগেশ্বর রাওকে সারদা ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার দায়িত্ব থেকে সরানো হচ্ছে। বলা বাহুল্য এতদিন অতিরিক্ত অধিকর্তা হিসেবে কাজ করছিলেন নাগেশ্বর রাও।
আরও একটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য। ক্ষমতায় এসে প্রশাসনিক স্তরে স্বচ্ছতা নিয়ে বেনজির পদক্ষেপ নিয়েছে মোদী সরকার। অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে ১৬ জন উচ্চপদস্থ আয়কর আধিকারিককে। মোদী সরকার দুর্নীতির প্রসঙ্গে কোনও আপোষ করতে চায় না। এদিনের সিদ্ধান্ত সেই কঠোর মনোভাবেরই ইঙ্গিতবাহী।