এবারই প্রথম ৪০০ বছরের ঐতিহ্য ভাঙল হুগলীর এই ঐতিহাসিক চার্চে। প্রতি বছরই প্রথা মেনে মধ্যরাতে বড়দিনের প্রার্থনা করা হয়। কিন্তু এবার ভাঙতে চলেছে সেই নিয়ম। এবার মধ্যরাতের বদলে ২৪ ডিসেম্বর প্রার্থনা হয় রাত সাড়ে ১০টায়।
বড়দিনের(Christmas) আবহে মধ্যরাতে ব্যান্ডেল চার্চে(Bandel Church) হল বিশেষ প্রার্থনা। প্রতি বছরের মতো এবারও এই "হোলি মাস" এর আয়োজন হয় ব্যান্ডেল চার্চে। তবে ওই সময় খ্রিষ্টান বাদে অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রবেশ এই সময় নিষিদ্ধ থাকে। এই প্রার্থনা এবার কোভিড পরিস্থিতি(Covid situation) মেনে তিনভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ চার্চ এলাকার মধ্যেই একই সঙ্গে মূল উপাসনা গৃহের পাশাপাশি আরও দুটি হলঘরে এই পবিত্র প্রার্থনা সভা হয়। তবে অন্যবারের থেকে এবারে খানিক সময়ও এগিয়ে এনে রাত সাড়ে দশটা থেকেই এই প্রার্থনা শুরু হয়।
তবে এবারই প্রথম ৪০০ বছরের(400 years) ঐতিহ্য ভাঙল হুগলীর এই ঐতিহাসিক চার্চে। প্রতি বছরই প্রথা মেনে মধ্যরাতে বড়দিনের প্রার্থনা করা হয়। কিন্তু এবার ভাঙতে চলেছে সেই নিয়ম। এবার আর মধ্যরাতে নয়, উল্টে ২৪ ডিসেম্বর(24 december) প্রার্থনা হয় রাত সাড়ে ১০টায়। কোভিড বিধি ও অন্যান্য বিধিনেষধ মেনে মানুষের সুবিধার্থেই এই সম.য়ের বদল বলে চার্চ কর্তৃপক্ষের দাবি। এদিকে প্রসঙ্গত গত বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে লোক জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি যার ছাপ পড়ে ব্যান্ডেল চার্চেও। তবে জমায়েতে নিষেধাধজ্ঞা থাকলেও চার্চের লোকজনই মূলত ঐতিহ্যবাগী প্রথা মেনে ক্রিসমাস ইভের প্রার্থনা হয়েছিল রাত বারোটাতেই।
আরও পড়ুন-বড়দিনের আবহেই মধ্যরাতেই গির্জায় প্রার্থনা মমতার, কোভিড বিধি নিয়ে ফের করলেন সতর্ক
ইতিহাস বলছে ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে তৈরি হয় এই চার্চ। পশ্চিমবঙ্গের(west Bengal) প্রাচীনতম গির্জাগুলির মধ্যে অন্যতম ব্যান্ডেলের এই চার্চ। এই চার্চের পোষাকি নাম দ্য ব্যাসিলিকা অফ দ্য হোলি-রোসারি, ব্যান্ডেল। হুগলীর অন্যতম দর্শনীয় স্থান গুলির মধ্যে শীর্ষতালিকায় রয়েছে এই ঐতিহ্যবাহী চার্চ। বড়দিনের সময় চার্চ ঘিরে কার্যত মেলা বসে যায় ব্যান্ডেল চত্বরে। রাজ্যের একাধিক প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন বহু মানুষ। দিনভর চলে প্রার্থনা। এদিকে বড়দিন উপলক্ষ্যে ২৪-র মধ্যরাতে বড়বাজারে ব্রেবোর্ন রোডের পর্তুগিজ গির্জায় যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়(Trinamool Supremo Mamata Banerjee)। সেখানে চলে উপাসনা। রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনার পাশাপাশি কোভিড বিধি নিয়েও বিশেষ সতর্ক করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে প্রতি বছর মূলত সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালে মাঝরাতের ক্যারলে অংশ নিতে দেখা যায়। তবে এবার তাতে খানিক বদল দেখা যায়। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আগমণকে ঘিরে বড়বাজার এলাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কলকাতা পুলিশ। অন্যদিকে বড়দিনের আবহে কোনও নাশকতা এড়াতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে গোটা শহরকে মুড়ে ফেলে কলাকাত পুলিশ। নজরদারি চলছে ওয়াচ টাওয়ার থেকে।