আনন্দপুর-কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত অভিষেককে বাঁচাতে নির্যাতিতা তরুণীর বয়ান বদলেছে। ইতিমধ্য়েই আলিপুর কোর্টের নির্দেশে গোপন জবানবন্দী দিয়েছেন নীলাঞ্জনার স্বামী দীপ শতপথী। আনা হয়েছে তরুণীকেও। তরুণীকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর নীলাঞ্জনার পা ভেঙেছে অভিযুক্তের গাড়ির তলায়। 'এটা জেনেশুনে খুনের চেষ্টা। নীলাঞ্জনাকে মেরে ফেলাই উদ্দেশ্য ছিল অভিষেকের'। তাই বয়ান বদলালেও নিজের লক্ষে অবিচল দীপ শতপথি। তিনি অভিযুক্তের যথাযথ শাস্তি চান। এবং এই বিষয়ে টেলিফোনে আমাদের সংবাদমাধ্যমকে, দীপ নিজের বক্তব্য জানালেন ।
আরও পড়ুন, 'রাতে মহিলারা কেন মদ খায়', আদালতে বেফাঁস মন্তব্য অভিষেকের আইনজীবীর
আনন্দপুর-কাণ্ডে পুলিশি জেরায় উঠে এসেছে, অভিযুক্ত অভিষেক তরুণীর হবু বর। বিয়ে হবার কথা ছিল তাঁর সঙ্গে। তাই অভিষেককেই এখন বাঁচাতে বয়ান বদলে ঘটনার অন্য রুপ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে ওই তরুণী। বলতেই দৃঢ় কন্ঠে টেলিফোনের ওপারে দীপ বললেন, 'সেই রাতে সাহায্য চেয়ে আর্তনাদ শুনে তরুণীকে বাঁচানোটাই প্রথম লক্ষ্য ছিল। এবং আমরা সেটাই করেছি। হ্যাঁ, এখন বয়ান বদল করে সেদিন রাতের ঘটনাটা বদল করা হচ্ছে। আমার তাঁদের ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে কোনও উৎসাহ নেই। তবে ওই তরুণীকে বাঁচাতে গিয়ে চলন্ত গাড়ির আক্রমণে আমার স্ত্রীর অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। এবং অভিযুক্ত অভিষেক জেনে বুঝেই আমার স্ত্রী নীলাঞ্জনার গাড়িটি চালিয়ে দিয়েছে। এটা পুরোপুরি 'অ্য়াটেম্পট টু মার্ডা'র। এবং এর ন্যায্য বিচার চাই।'
আরও পড়ুন, আনন্দপুর-কাণ্ডে 'হবু স্বামী'কে বাঁচাতে পুলিশকে মিথ্য়ে তরুণীর, কী বলল আলিপুর কোর্ট
একটু থেমে দীপ আবার বলেন,' তাই কোনও বয়ান বদলে ঘটনাকে ঘোরানোর চেষ্টা করলেও সত্যিটা বদলে যাবে না। আমার এখন লক্ষ্য একটাই আমার স্ত্রীর উপর 'অ্য়াটেম্পট টু মার্ডার'-এ অভিযুক্ত অভিষেকের যথাযথ শাস্তি চাই। তাই আমি এই লড়াইটা চালিয়ে যাব।'নীলাঞ্জনা এখন কেমন আছে জিজ্ঞেস করতেই দীপ জানালেন,' এই মুহূর্তে আমার স্ত্রী নীলাঞ্জনা ভাল আছে। বৃহস্পতিবার 'ওয়াকার'-র সাহায্য নিয়ে সামান্য একটু হেঁটেছে। শুক্রবার সকালে আমার স্ত্রী-র সঙ্গে দেখা করতে আসবে, রাজ্য মহিলা কমিশন। এবং বিকেলে আসবে, জাতীয় মানবধিকার কমিশন।' এবং আবারও এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে,'খারাপ সময়ে আপনাদের খুব পাশে পেয়েছি', বলে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দীপ শতপথী।
আরও পড়ুন, অস্ত্রোপচার সফল নীলাঞ্জনার, সাহসিনীকে কুর্ণিশ এশিয়ানেট নিউজ বাংলার
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, গত শনিবার নিজের জীবনকে বাজি রেখে তরুণীর শ্লীলতাহানির রোখেন নীলাঞ্জনা ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্বামী দীপ শতপথী। শনিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ একটি নিমন্ত্রণ রক্ষা করে ইএম বাইপাস লাগোয়া আনন্দপুর থেকে ফেরার তোড়জোড় করছিলেন নীলাঞ্জনা ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্বামী দীপ শতপথী। আর প্লটের সামনে পার্ক করে রাখা গাড়িতে চড়েও বসেছিলেন নীলাঞ্জনা এবং দীপ। আচমকাই তাঁরা খেয়াল করেন বাইপাসের কাছে ঘন কালো নিকশ অন্ধকার থেকে ভেসে আসছে নারী কন্ঠের 'বাঁচাও' আর্তনাদ। আওয়াজ শোনার পর নীলাঞ্জনা আর দুবার ভাবেননি,নেমে পড়েছেন বাঁচাতে, ওই তরুণীকে। অভিযুক্ত গাড়িটা ততক্ষণে উদ্ধারকারীকে সামনে দেখতে পেয়ে, পায়ের উপর গাড়ি চালিয়ে দিয়েছে। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় নীলাঞ্জনাকে বাইপাসের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তারপর থেকেই অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে শহরের একটি বেসরকারি স্কুলের কাছ থেকে অভিযুক্ত অভিষেক পাণ্ডেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে নির্যাতিতা তরুণীর কথায় অসঙ্গতির পর জল কোন দিকে গড়ায়, তার অপেক্ষায় রয়েছে সবাই।
চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ গোপন, কলকাতার ৬ হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা স্বাস্থ্য কমিশনের
কোভিড আক্রান্তের ফ্ল্য়াটে ঝুলল তালা, বিপাকে পরিবার, রইল করোনা ক্রাইমের সাতকাহন
কোভিড রোগী ভর্তিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না, নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের
ভয় নেই করোনায়, মেডিক্য়ালের ৪ তলার কার্নিশে পা দোলাচ্ছে রোগী
ভুয়ো টেস্টের ফাঁদে পড়ে করোনায় মৃত্যু এক ব্য়াক্তির, গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের ৩ জন
করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা