সংক্ষিপ্ত
- বিয়ে হবার কথা ছিল তাঁদের, এদিকে 'হবু বর'ই অভিযুক্ত
- অভিযুক্তকে বাঁচাতে সম্পর্কের কথা তোলেন আইনজীবী
- সূত্রে খবর, যুক্তি দিতে গিয়ে অশালীন মন্তব্যও করলেন
- অভিষেকের জামিনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী
আনন্দপুর-কাণ্ডে তরুণীর শ্লীলতাহানিতে প্রধান অভিযুক্ত অভিষেক। তিনিই আবার নির্যাতিতার তরুণীর 'হবু স্বামী'। আর তাঁকে বাঁচাতেই আবার পুলিশকে ভূল তথ্য দিয়েছেন তরুণী। কারণ একটা তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। দু'জনে মেলামেশাও করতেন। তাই খারাপ কিছু আড়ালে-আবডালে সরিয়ে রেখে, আনন্দপুরকাণ্ডে অভিযুক্তকে বাঁচাতে নিগৃহীতা ও তাঁর মক্কেলের সম্পর্কের কথা তুলে ধরলেন অভিষেকের আইনজীবী।
আরও পড়ুন, আনন্দপুর-কাণ্ডে 'হবু স্বামী'কে বাঁচাতে পুলিশকে মিথ্য়ে তরুণীর, কী বলল আলিপুর কোর্ট
আলিপুর কোর্ট সূত্রে খবর, যুক্তি দিতে গিয়ে অশালীন মন্তব্যও করলেন। অভিষেকের আইনজীবী নির্যাতিতাকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন,'রাতে মহিলারা যে কেন মদ খায়, এত রাতে কেন মদের দোকান খোলা থাকে'। বলা মাত্রই তাঁকে 'সঠিক শব্দচয়ন' করতে বলে থামিয়ে দেন সরকারি আইনজীবী। অভিষেককে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। উল্লেখ্য, গতকাল, মঙ্গলবার আনন্দপুরকাণ্ডে অভিযুক্ত অভিষেক পাণ্ডেকে গ্রেফতার করে পুলিস। জেরায় পুলিস জানতে পেরেছে, অভিষেক ও নিগৃহীতার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সে দিন কোনও বিষয় নিয়ে ঝগড়া থেকে বিপত্তির সূত্রপাত। এদিন আলিপুর আদালতে দুই জনের সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করে জামিন চান অভিষেকের আইনজীবী।
আরও পড়ুন, অস্ত্রোপচার সফল নীলাঞ্জনার, সাহসিনীকে কুর্ণিশ এশিয়ানেট নিউজ বাংলার
অভিষেক পাণ্ডের জামিনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী। তিনি সওয়াল করেন,'আরও জেরা প্রয়োজন। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে হবে। ১৪ দিনের হেফাজত দেওয়া হোক'। ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিষেককে পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এর পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়, প্রত্যক্ষদর্শী ও নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দির আর্জিও মঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার আলিপুর কোর্টের নির্দেশেই উপস্থিত ছিলেন দীপ শতপথী এবং নিয়ে আসা হয় ওই তরুণীকেও।
আরও পড়ুন, শিরোনামে মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল, 'হস্তমৈথুন', তরুণীকে লিফটে তোলার চেষ্টা, গ্রেফতার ১
প্রসঙ্গত, গত শনিবার নিজের জীবনকে বাজি রেখে তরুণীর শ্লীলতাহানির রোখেন নীলাঞ্জনা ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্বামী দীপ শতপথী। শনিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ একটি নিমন্ত্রণ রক্ষা করে ইএম বাইপাস লাগোয়া আনন্দপুর থেকে ফেরার তোড়জোড় করছিলেন নীলাঞ্জনা ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্বামী দীপ শতপথী। আর প্লটের সামনে পার্ক করে রাখা গাড়িতে চড়েও বসেছিলেন নীলাঞ্জনা এবং দীপ। আচমকাই তাঁরা খেয়াল করেন বাইপাসের কাছে ঘন কালো নিকশ অন্ধকার থেকে ভেসে আসছে নারী কন্ঠের 'বাঁচাও' আর্তনাদ। আওয়াজ শোনার পর নীলাঞ্জনা আর দুবার ভাবেননি,নেমে পড়েছেন বাঁচাতে, ওই তরুণীকে। অভিযুক্ত গাড়িটা ততক্ষণে উদ্ধারকারীকে সামনে দেখতে পেয়ে, পায়ের উপর গাড়ি চালিয়ে দিয়েছে। এরপর দীপ ১০০ নম্বর করলে তাঁদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ গোপন, কলকাতার ৬ হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা স্বাস্থ্য কমিশনের
কোভিড আক্রান্তের ফ্ল্য়াটে ঝুলল তালা, বিপাকে পরিবার, রইল করোনা ক্রাইমের সাতকাহন
কোভিড রোগী ভর্তিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না, নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের
ভয় নেই করোনায়, মেডিক্য়ালের ৪ তলার কার্নিশে পা দোলাচ্ছে রোগী
ভুয়ো টেস্টের ফাঁদে পড়ে করোনায় মৃত্যু এক ব্য়াক্তির, গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের ৩ জন
করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা