সংক্ষিপ্ত

  • আগাগোড়া পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন ওই তরুণী  
  •  গ্রেফতারের পর অভিষেককে আলিপুর কোর্টে তোলা হয়েছে  
  •   ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট 
  • বৃহস্পতিবার আলিপুর কোর্টে হাজির  নীলাঞ্জনার স্বামী দীপ শতপথী 


আনন্দপুরে তরুণীকে শ্লীলতাহানি থেকে বাঁচিয়ে উদ্ধার করতে গিয়ে গাড়ির চাকায় ইতিমধ্যেই পা-এর হাড় ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়ের।  আর সেই তরুণী উদ্ধার পাওয়ার পরই ঘটাল উলটপূরাণ। মূল অভিযুক্তকে পুলিশের থেকে বাঁচানোর চেষ্টায় উঠে পড়ে লাগল। প্রথমে রহস্য জনক লাগলেও ঘটনাটি পরিষ্কার হতে দেরি হয় না পুলিশের। জানা যায়, অভিযুক্ত আসলে নির্যাতিতার হবু স্বামী। তাই শেষমেষ মরিয়া হয়ে বাঁচানোর চেষ্টা। ঘটনার দিন থেকে আগাগোড়া পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন ওই তরুণী। তবে তাতে চিড়ে ভেজেনি। পুলিশ হবু স্বামীর বিয়ের পিড়িতে বসিয়ে শখ আপাতত ঘুচিয়ে দিয়েছে। গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত অভিষেক পাণ্ডেকে  ইতিমধ্য়েই আলিপুর কোর্টে তোলা হয়েছে এবং ওই তরুণীকেও বৃহস্পতিবার কোর্টে আনা হয়ছে।

 

 

আরও পড়ুন, ICU না পেয়ে করোনা রোগীর মৃত্যু, ৩ হাসপাতালকে দোষী সাব্যস্ত করল কমিশন

কোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে,  অভিষেক পাণ্ডেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে  আলিপুর কোর্ট। এবং পাশাপাশি নির্যাতিতা তরুণী এবং উদ্ধারকারীর  গোপন জবানবন্দি নিতে বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশেই বৃহস্পতিবার আলিপুর কোর্টে হাজির হয়  নীলাঞ্জনার স্বামী দীপ শতপথী। পাশপাশি অভিযোগের ভিত্তিতে সেই নির্যাতিতা তরুণীকে নিয়ে আসা হয়।  উল্লেখ্য, নয়াবাদের বাসিন্দা 'নির্যাতিতা' তরুণী, অভিষেক এবং তাঁর মা ও জামাইবাবুর বয়ান থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কয়েক বছর ধরে অভিষেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ওই তরুণীর। তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের জন্য বিয়ে পিছিয়ে যায়। ঘটনার দিন থেকে আগাগোড়া পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন ওই তরুণী। এবং পরে সেটা ধরা পড়ে।

 

 

আরও পড়ুন, ICU না পেয়ে করোনা রোগীর মৃত্যু, ৩ হাসপাতালকে দোষী সাব্যস্ত করল কমিশন
 
প্রসঙ্গত,  গত শনিবার  নিজের জীবনকে বাজি রেখে তরুণীর শ্লীলতাহানির রোখেন নীলাঞ্জনা ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্বামী দীপ শতপথী। শনিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ একটি নিমন্ত্রণ রক্ষা করে ইএম বাইপাস লাগোয়া আনন্দপুর থেকে ফেরার তোড়জোড় করছিলেন নীলাঞ্জনা ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্বামী দীপ শতপথী। আর প্লটের সামনে পার্ক করে রাখা গাড়িতে চড়েও বসেছিলেন নীলাঞ্জনা এবং দীপ। আচমকাই তাঁরা খেয়াল করেন  বাইপাসের কাছে ঘন কালো নিকশ অন্ধকার থেকে ভেসে আসছে নারী কন্ঠের 'বাঁচাও' আর্তনাদ। আওয়াজ শোনার পর  নীলাঞ্জনা আর দুবার ভাবেননি,নেমে পড়েছেন বাঁচাতে, ওই তরুণীকে। অভিযুক্ত গাড়িটা ততক্ষণে উদ্ধারকারীকে সামনে দেখতে পেয়ে, পায়ের উপর গাড়ি চালিয়ে দিয়েছে। এরপর দীপ ১০০ নম্বর করলে তাঁদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় নীলাঞ্জনাকে বাইপাসের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তারপর থেকেই অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। তারপরই মঙ্গলবার রাতে শহরের একটি বেসরকারি স্কুলের কাছ থেকে অভিযুক্ত অভিষেক পাণ্ডেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে নির্যাতিতা তরুণীর কথায় অসঙ্গতির পর জল কোন দিকে গড়ায়, তার অপেক্ষায়  রয়েছে সবাই। উল্লেখ্য, নীলাঞ্জনারপা-এর অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে এবং তিনি এই মুহূর্তে চিকিৎসকের অবজারবেশনে রয়েছেন।
 

 

         

 

চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ গোপন, কলকাতার ৬ হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা স্বাস্থ্য কমিশনের

কোভিড আক্রান্তের ফ্ল্য়াটে ঝুলল তালা, বিপাকে পরিবার, রইল করোনা ক্রাইমের সাতকাহন

কোভিড রোগী ভর্তিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না, নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের

ভয় নেই করোনায়, মেডিক্য়ালের ৪ তলার কার্নিশে পা দোলাচ্ছে রোগী

ভুয়ো টেস্টের ফাঁদে পড়ে করোনায় মৃত্যু এক ব্য়াক্তির, গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের ৩ জন

করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা