গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ হাজারের গন্ডি। হু হু করে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এবার করোনার কারণে এমবিবিএস এবং চিকিৎসকদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সব পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এবং বন্ধ করা হল নার্সদেরও বিভিন্ন পরীক্ষাও। গত বৃহস্পতিবার কোভিডের সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই এমন নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়।
দেশজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনার দাপট। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে যেন কোভিড রোগী। বাংলার অবস্থাও খুব শোচনীয়। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ হাজারের গন্ডি। হু হু করে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এবার করোনার কারণে এমবিবিএস এবং চিকিৎসকদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সব পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এবং বন্ধ করা হল নার্সদেরও বিভিন্ন পরীক্ষাও। গত বৃহস্পতিবার কোভিডের সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই এমন নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়।
কলকাতাতেও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস। কলকাতায় করোনার বাড়বাড়ন্ত যেভাবে বাড়ছে তাতে অবস্থা খুবই শোচনীয়। গোটা শহরকেই যেন গ্রাস করে নিয়েছে করোনা ভাইরাস। একের পর এক তারকা থেকে সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনা ভাইরাসে। তৃতীয় ঢেউ চলেই এসেছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাস নিয়ে ত্রাহি ত্রাহি রব চারিদিকে। নতুন বছর পড়তে না পড়তেই জাঁকিয়ে বসেছে করোনা ভাইরাস। করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে লাগাম টানতে কড়াকড়ি পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়েছে স্কুল-কলেজ, পার্লার, পার্ক, সুইমিং পুল। অফিসেও কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কোভিড পরিস্থিতিতে। সরকারি-বেসরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে এই বিধিনিষেধ।
ভার্চুয়াল বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোভিড যে হারে বাড়ছে তা যদি আরও ভয়াবহ হয় তাহলে কোভিডবিধি আরও কড়াকড়ি হবে। এবং এই কোভিডদের বাড়বাড়ন্তের কারণেই এমবিবিএস এবং চিকিৎসকদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সমস্ত পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। করোনা ভাইরাসে প্রতিটা হাসপাতালের অবস্থা ইতিমধ্যেই ভয়াবহ। চিকিৎসক-নার্স থেকে মেডিক্যাল স্টাফরা করোনার আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিদিন। একই ভাবে সংক্রমিত হচ্ছেন নার্সিং পড়ুয়ারা। সকলের কথা ভেবে চিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে জিএনএম পড়ুয়ারা তাদের পরীক্ষা বাতিলের দাবি তুলেছেন। প্রচুর পড়ুয়ারা করোনায় আক্রান্ত। এই সঙ্কট পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দেওয়াটাও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আপাতত পরীক্ষা বাতিল করা হোক বলেই তাদের দাবি ছিল। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের পরীক্ষার নয়া দিন ঘোষণা করা হবে। এবং জিএনএম পড়ুয়াদের জন্য রাজ্যের কী সিদ্ধান্ত হয় সেটাই দেখার।