মহম্মদ আলি পার্কে অবস্থিত কলকাতা পুরসভার শতাব্দী প্রাচীন জালাধারের অবস্থা বর্তমানে শোচনীয়। বিপজ্জনক এই জলাধারের উপর পুজোর মণ্ডপের কাজ করা যাবে না বলেই জানিয়েছে জল সরাবরাহ দফতর। তবে কী ভাবে হবে এই বছর কলকাতার বিখ্যাত এই পুজো?
হাতে সময় দেড় মাসেরও কম, তবু জট কাটছে না মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গাপুজার। পুজো কমিটির বৈঠকেও মেলেনি কোনও ইতিবাচক ফল। কোন দিকে এগোচ্ছে কলকাতার বিখ্যাত মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গাপুজোর ভবিষ্যৎ?
মহম্মদ আলি পার্কে অবস্থিত কলকাতা পুরসভার শতাব্দী প্রাচীন জালাধারের অবস্থা বর্তমানে শোচনীয়। বিপজ্জনক এই জলাধারের উপর পুজোর মণ্ডপের কাজ করা যাবে না বলেই জানিয়েছে জল সরাবরাহ দফতর। তবে কী ভাবে হবে এই বছর কলকাতার বিখ্যাত এই পুজো? সমাধান খুঁজতে ডাকা হয় পুজো কমিটির মিটিংও। তবে তাতেও সুরাহা মেলেনি। দিন এগিয়ে এলেও পুজো নিয়ে ধোঁয়াশা যেন কিছুতেই কাটছে না।
উল্লেখ্য, ২০১৯ থেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে মহম্মদ আলি পার্ক পুজো কমিটিকে। সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর রূপ ধারণ করায় ২০২২-এর দুর্গাপুজো নিয়ে চিন্তায় মহম্মদ আলি পার্ক। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই পুজোর কাজ শুরু হয় গিয়েছিল। কিন্তু বিপজ্জনক এই জলাধারের উপর মণ্ডপ তৈরির বিষয়টি জল সরাবরাহ দফতরের নজরে আসতেই মণ্ডপ তৈরির কাজ বন্ধ করে দেওয়ার নোটিস পাঠানো হয় কলকাতা পুরসাভার তরফ থেকে।
আরও পড়ুন - দুর্গাপুজোয় কত অনুদান পাবে পুজো কমিটিগুলি? নবান্নে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর
জটিলতা কাটাতে সোমবার জল সরবরাহ দপ্তরের ডিজি মৈনাক মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসে পুজো কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহম্মদ আলি পার্কের পুজো কমিটির ছয় জনের প্রতিনিধি দল ও জল সরবরাহ দপ্তরের ডিজি মৈনাক মুখোপাধ্যায়। পুজো নিয়ে ধোঁয়াশা না কাটলেও মঙ্গলবার ডিজি ও জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে মহম্মদ আলি পার্কের যৌথ পরিদর্শন করবেন বলে স্থির হয় বৈঠকে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ফের আলোচনায় বসবেন তাঁরা। এমনটাই জানাচ্ছেন পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অশোক ওঝা।
আরও পড়ুন - এবছর পুজোয় গন্তব্য হোক রোম, ভ্যাটিকান সিটির আদলে তৈরি হচ্ছে শ্রীভূমির পুজো মন্ডপ
এই প্রসঙ্গে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে পুজোর মধ্যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুরসভার সঙ্গে সব রকমের সহযোগিতা করবেন তাঁরা। পাশাপাশি ক্লাবের পক্ষ থেকে এও বলা হয় যে এই বছর পুজোর আয়োজনে আপষ করলেও ২০২৩-এর পুজো যাতে নির্বিঘ্নে হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে। পুরসভার কাছেও এই দীর্ঘদিনের সমস্যার অতিদ্রুত সমাধানের আর্জি জানান আয়োজকরা।