ওই ছাত্রের রক্তের নমুনাটি পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে (এনআইভি) পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল কারণ এটি মাঙ্কিপক্স বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো আসেনি।
এবার কি কলকাতায় মাঙ্কিপক্স? কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক ছাত্রের মাঙ্কি পক্স থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন চিকিৎসকরা। কয়েকদিন আগে ইউরোপের একটি দেশ থেকে ফিরেছেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই যুবককে তার শরীরে 'ব়্যাশ' এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই ছাত্রের রক্তের নমুনাটি পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে (এনআইভি) পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল কারণ এটি মাঙ্কিপক্স বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো আসেনি। রোগীকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তার বাড়ির লোকজনকেও রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক করেছে।
সূত্রের খবর, এক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কারণ ওই ছাত্র বিদেশ থেকে ফিরেছে। তাই স্বাস্থ্য বিভাগ কোনো ঝুঁকি নেয়নি। রাজ্যে এই প্রথম রাজ্যে মাঙ্কি পক্সে সন্দেহভাজন ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হল। ওই ছাত্রের রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে। পক্সের মতো দেখতে ফুসকুড়ি থেকে নেওয়া তরলের নমুনাও পাঠানো হয়েছে।
এদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন, আমরা ওই ছাত্রের শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখছি। যতক্ষণ না রিপোর্ট এসে পৌঁছয়, তার আগে পরিষ্কার করে বলা সম্ভব নয় মাঙ্কিপক্স আদৌ হয়েছে কিনা।
প্রবল জলের তোড়ে ভেসে গেল গাড়ি, মৃত্যু ৯ জনের- জীবিত অবস্থায় উদ্ধার ১
গুলিবিদ্ধ শিনজো আবে হৃদরোগে আক্রান্ত, প্রাক্তন জাপান প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে
'ছোট্ট মালতী মেরী আশ্চার্যজনক', প্রিয়াঙ্কার মেয়েকে নিয়ে গর্বিত বাবা নিক জোনস
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে ২৯টি দেশ থেকে ১০০০টিরও বেশি মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। যেসব দেশে এই রোগের সন্ধান পাওয়া গেছে সেখানে এই রোগটি মোটেও স্থানীয় রোগ নয়। অর্থাৎ আফ্রিকার দেশগুলির বাইরেও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্যরা রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে আক্রান্ত দেশগুলিকে প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে ও পরবর্তী বিস্তার রোধ করার জন্য সমস্ত কেস ও পরিচিতি চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছে সোশ্যাস মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন টেড্রোস। তিনি মূলত রোগটি যাতে আর না ছড়ায় তার ওপর জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন এখনও পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু রোগটি উদ্বেগজনকভাবে ছড়াচ্ছে। তাই উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে বিচ্ছিন্ন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন ভাইরাসটি কয়েক দশক ধরেই শুধুমাত্র আফ্রিকার দেশগুলিতে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন এটি ইউরোপ ও আমেরিকাতে ছড়াচ্ছে। প্রতিদিনই ভাইরাসটি হুমকি বাড়াচ্ছে। তাই এখন থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন এটি স্ব-সীমিত রোগ। সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এটি গর্ভাবতী মহিলা ও দুর্বলদের কাছে মারাত্মক হতে পারে। এই রোগের সাধারণ লক্ষণগুলি হল জ্বর, মাথাব্যাথা, পেশীতে ব্যাথা, ক্লান্তি। গা-হাত-পাতে ফোসকার মত দেখা যায়।