গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে ১৫টি মেলা স্পেশাল লোকাল ট্রেন চালাতে চলেছে পূর্ব রেল। কোভিড পরিস্থিতিতে এই মেলায় পুণ্যার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থার ভারসাম্য বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ রেলের।
গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে মেলা স্পেশাল লোকাল ট্রেন চালাতে চলেছে পূর্ব রেল। মোট ১৫টি মেলা স্পেশাল লোকাল ট্রেন কথা ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগর (Gangasagar Mela) মেলা নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। হাইকোর্টে ওঠে মামলা। তবে কোভিড বিধি মেনে শেষ অবধি গঙ্গা সাগর মেলা চালানোর অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে এই মেলায় যাতায়াত ব্যবস্থার ভারসাম্য বজায় রাখতে মেলা স্পেশাল লোকাল ট্রেন চালাতে চলেছে রেল (Indian Railways)।
১৫টি লোকাল ট্রেন চালাতে চলেছে পূর্ব রেল। শিয়ালদহ থেকে ছাড়বে ট্রেন গুলি। ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই বাড়তি ট্রেন চালানো হবে। ১২ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে ট্রেন গুলি চলবে । গঙ্গাসাগরের জন্য যে সমস্ত অতিরিক্ত ট্রেন গুলি চালানো হবে, সেগুলি হল, শিয়ালদা থেকে নামখানা আটটি, নামখানা থেকে লক্ষ্মীকান্তপুর একটি, শিয়ালদা-লক্ষীকান্তপুর দুটি, কাকদ্বীপ-শিয়ালদা একটি ট্রেন। উল্লেখ্য, তবে শুধু এবছরই নয়, প্রতিবছরই গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে স্পেশাল লোকাল ট্রেন চালানো হয়। একুশ সালে তীর্থ যাত্রীদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত ৬৭ টি ট্রেন চালিয়েছিল রেল।
গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে এবার কম জল গড়ায়নি গঙ্গার উপর দিয়ে। প্রথমত প্রথম থেকে সরব ছিলেন বিরোধীরা। কারণ রাজ্য ২৫ ডিসেম্বর রাজ্যে উৎসব মুখর হয়ে ওঠায় শহরে প্রচুর মানুষ কোবিড বিধি শিকেয় তুলে ঘুরে বেড়ায়। এরপরেই দাপিয়ে বাড়ে ওমিক্রন সংক্রমণ। এদিকে সামনে এগিয়ে আসে একের পর এক উৎসব। তার মধ্যেই অন্যতম হল গঙ্গাসাগর মেলা। ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ যেখানে শহরে মাত্র সাড়ে পাঁচশোর আশেপাশে ছিল দৈনিক সংক্রমণ, সেটা নতুন বছরের ১ জানুযারি এসে দাঁড়ায় ৪ হাজার উপরে। এবং প্রথম সপ্তাহ পেরোতেই তা পেরোয় ১৪ হাজারের গণ্ডী। মেলা হলে তা আরও বেশি ছড়াতে পারে বলে প্রতিবাদ জানায় বিরোধীরা। তবে মেলা চলাকালীন কোভিড মোকাবিলায় এবার একাধিক ব্যবাস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুণ্যার্থীদের জন্য অনলাইনে বিভিন্ন ব্যবস্থা করা হয়েছে। ই-স্নান ও ই-দর্শন করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমস্ত ধরনের কোভিড মানা হচ্ছে। কলকাতা থেকে সাগর সকলের টিকাকাকরণ হয়ে গিয়েছে। ২ কিমি এলাকা জুড়ে মেলা। এবার ৫ লক্ষের বেশি হবে না পূণ্যার্থী সমাগম হবে না।'
এছাড়াও করোনাবিধি মেনে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। থাকছে অ্যাম্বুলেন্সও। ৭১ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন। ৪ থেকে ৫ লাখ পূর্ণ্যার্থীদের ভিড় হতে পারে। বহুমানুষ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন যায়গা থেকে আসতে শুরু করেছেন। ১০ হাজার পুলিশ কর্মী ও ৫ হাজার ভলেন্টিয়ারদের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। একটি টেম্পোরারি হসপিটালও তৈরি করা হয়েছে। ৫৩০ বেড ক্যাপাসিটির একটি কোরেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। ৪টে রেল স্টেশন সহ একাধিক যায়গা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করবে। বিভিন্ন যায়গায় থার্মাল চেকিং-এর ব্যবস্থা করা আছে। র্যাপিড টেস্টও হবে। আইসোলেটেড করার ব্যবস্থাও থাকবে। ২০০-র কাছাকাছি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হচ্ছে। গ্রিন করিডর রাখা হচ্ছে এমারজেন্সির জন্য।' যাবতীয় দিক বিচার করে রাজ্যকে তাই মেলা করার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।