শরতের নীল আকাশ আর মাঠে ঘাটে কাশ ফুল জানান দিচ্ছে ঘরে মেয়ের আসার সময় হয়েছে। সেই আনন্দ মেতে উঠেছে শহর কলকাতা সহ গোটা বাংলা। সেই মতে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতিও। কলকাতার অলিতে গলিতে চলছে পুজোর থিম, প্য়ান্ডেল, আলোর রোশনাই দিয়ে সাজানোর প্রস্তুতিপর্ব। বছর পরে মেয়ে বাড়ি আসছে বলে কথা। তাই এই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে হাতিবাগান সর্বজনীনেও।
দেখে নিন- নাম লেখাননি এখনও, দেরি না করে অংশ নিন এশিয়ানেট নিউজ শারদ সম্মান ২০১৯-এ
পরিবেশ দূষণের ভয়ঙ্কর ফল ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে আমাদের দিকে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে গোটা পৃথিবী। বহু সচেতনমূলক কাজের মাধ্যমে সাধারন মানুষকে এ ব্যাপারে জানানো হলেও ঠিক কতটা প্রভাব ফেলেছে তা মানুষের মনে বা ঠিক কতটা সচেতন হয়েছেন মানুষ তা বলা কঠিন। তবে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য যে সচেতনতামূলক কর্মসূচী চলছে তাকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চলেছে পৃথিবী যখন পরিবেশ দূষণের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ মাত্রায় এসে পৌঁছেছে, এরকমই এক সময়ে সচেতনতা বাড়াতে উত্তর কলকাতার হাতিবাগান সর্বজনীন সারা কলকাতাবাসী কে মশাসুর ও প্লাস্টিকাসুর বধের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন- সাবেকিআনা এবং আধুনিকতার সংমিশ্রণে বাংলার প্রাচীন চালচিত্রের দেখা মিলবে দেশপ্রিয় পার্কে
হাতিবাগান সর্বজনীনের এটি ৮৫তম বর্ষ। প্রতিবারের মতো এবারেও পূজা কমিটির থিম হল বাংলার শিল্প। মণ্ডপ শয্যায়ে ব্যাবহার করা হচ্ছে মূলত কাঠ,বাঁশ এবং লোহা। পরিবেশকে সুন্দর করে তুলতে হাতিবাগান সর্বজনীনের এই অনবদ্য পদক্ষেপ। থিমের স্লোগান হল 'কত ধানে, কত চাল'। থিম শিল্পী সঞ্জীব সাহা রয়েছেন মণ্ডপ সাজানোর দায়িত্বে এবং প্রতিমা শিল্পী হলেন সৌমেন পাল। আবহ সঙ্গীতের দায়িত্বে আছেন লোপামুদ্রা মিত্র। এবার থিমের স্লোগান অনুযায়ী 'কত ধানে, কত চাল' এর চালটা কি বুঝতে গেলে অবশ্যই আসতে হবে হাতিবাগান সর্বজনীনে।