এজলাসে বিচারপতির অনুপস্থিতির কারণে সোমবার আনিস খান মৃত্যু মামলার শুনানি হয়নি। সোমবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে এই ঘটনার রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল রাজ্য সরকার গঠিত সিটের। রিপোর্ট তৈরি থাকলেও মামলার শুনানি না হওয়ায় এদিন তা আদালতে পেশ করতে পারেননি তদন্তকারীরা।
কয়েকদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন আইনজীবীরা। এমনকী, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট করতে চেয়ে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্রে করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আদালতে। এদিকে আজ ছিল ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যা মামলার শুনানি। এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হবে নাকি সিটের উপরই থাকবে তা নিশ্চিতভাবে জানা যেত। আর তার জেরে ফের আদালত চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা করেছিলেন অনেকেই। যদিও আজ এই মামলার শুনানি হয়নি।
এজলাসে বিচারপতির অনুপস্থিতির কারণে সোমবার আনিস খান মৃত্যু মামলার শুনানি হয়নি। সোমবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে এই ঘটনার রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল রাজ্য সরকার গঠিত সিটের। রিপোর্ট তৈরি থাকলেও মামলার শুনানি না হওয়ায় এদিন তা আদালতে পেশ করতে পারেননি তদন্তকারীরা। এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে যাবে নাকি সিটের হাতেই থাকবে তা নিয়ে লড়াই জারি রয়েছে। তবে গত সব ঘটনাই আদালতের তরফে তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। তার থেকে কিছুটা হলেও অনুমান করা হচ্ছে যে, এই মামলার তদন্তভারও তুলে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে।
এদিকে আনিস খানের মৃত্যু তদন্তে সিবিআই তদন্তের দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। তাদের দাবি, পুলিশ যেখানে অভিযুক্ত সেখানে রাজ্য সরকার গঠিত সিটের তদন্তে তাদের আস্থা নেই। আনিসের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিটকে তদন্ত শেষ করতে ১ মাস সময় দিয়েছিল আদালত। সোমবার বিচারপতি মান্থার বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল সিটের। কিন্তু, বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এজলাসে হাজির না থাকায় মামলার শুনানি হয়ি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে সূত্রের খবর। যদিও এই মামলার রিপোর্ট তৈরি করেছে সিট। অবশ্য সেই রিপোর্টে কী রয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি।
আরও পড়ুন- 'বাংলাকে রেপ হেভেনে পরিণত করেছে তৃণমূল', আইনজীবীদের হাতহাতি নিয়ে মন্তব্য দিলীপের
আর এই মামলার তদন্তভার যদি ফের সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাহলে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে আদালত। এই আশঙ্কা করেছেন রাজ্যপালও। টুইটারে সেকথা জানান তিনি। লেখেন, "গত ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টে বাইরে হওয়া ঘটনা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। এই ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেছি। ন্যায় বিচার অস্বীকার করা বা তাতে বাধা দেওয়া আইনের শাসনের বিরোধী। ন্যায়ের মন্দিরের পবিত্রতা সবারই বজায় রাখা উচিত।" উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় নিয়েই অসন্তোষ শুরু দুই পক্ষের মধ্যে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিভিন্ন ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। আর নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের বিরুদ্ধে কেন সরব হয়েছেন? এই প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ করে বিচারপতির এজলাস বয়কট করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবী সেলের সদস্যরা। এজলাসের বাইরে চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। এজলাস বয়কট করতে চেয়ে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ।
আরও পড়ুন- কুণালকে অশালীন মন্তব্যের জের, মানহানির মামলায় শুভেন্দুকে আদালতে হাজিরা থাকার নির্দেশ